বান্দরবানের পৌর যুবলীগের উপ প্রচার সম্পাদক রানা চৌধুরী’র উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সুত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) রাতে রাঙ্গামাটি থেকে মোটরবাইক যোগে বান্দরবান আসার পথে ডলুপাড়া ক্যামলং পাহাড়ের চড়ূই আসলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা রানা চৌধুরী’র ওপর হামলা চালায়। এসময় রানা চৌধুরী মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়ে যায় এবং সড়কের পাশে পড়ে থাকে। এসময় সন্ত্রাসীরা তাকে দা ও গাছের বাটাম দিয়ে শরীরে আঘাত করে, এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হয়। সন্ত্রাসীরা এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এর বিভিন্ন অংশে দা দিয়ে কেটে ফেলে।
পরে ঘটনাস্থলে চলাচলরত পথিক ও যানবাহনের যাত্রীরা রানা চৌধুরীকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করে এবং পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে বান্দরবান সদর থানা পুলিশের সদস্যরা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে মোটর বাইক ও একটি ধারালে দা উদ্ধার করে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়,৩০শে জুলাই (বৃহপতিবার) বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি গিয়ে ঠিকাদারী কাজ শেষ করে বান্দরবান আসার পথে বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সড়কের ডলুপাড়া ক্যামলং পাহাড়ের চড়ূই সন্ত্রাসীরা তাকে আক্রমন করে এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করে, পরে সড়কে কয়েকটি গাড়ী চলে আসলে অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের ভিতরে পালিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী বলেন, বান্দরবান শহর শাখা যুবলীগের উপ প্রচার সম্পাদক রানা চৌধুরী’র উপর সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে আমরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করে যথাযোগ্য শাস্তি দাবী করছি।
বান্দরবান জেলা যুবলীগের আহবায়ক কেলুমং বলেন, বান্দরবান শহর শাখা যুবলীগের উপ প্রচার সম্পাদক রানা চৌধুরী’র ওপর সন্ত্রাসীদের হামলায় আমরা জেলা যুবলীগ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং দোষীদের বিচার চাই।
এদিকে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো:সোহাগ রানা জানান, সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনার সংবাদ শুনে আমরা তাৎক্ষণিক আমাদের পুলিশের সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি এবং রানা চৌধুরীর মোটর বাইকটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছি।
তিনি আরো জানান, এই ব্যাপারে থানায় এখনো কোন মামলা করা হয়নি, মামলা করা হলে আমরা ঘটনার তদন্ত করবো এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
