সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করায় বান্দরবানে দুই ভূয়া সাংবাদিককে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। তারা হলেন, রাঙ্গামাটির বাঙ্গালহালিয়ার মৃত: থোয়াই মং মারমার ছেলে চাইথোয়াই চিং মারমা (৩২) ও বান্দরবানের রুমার চেরাগ্রা পাড়ার মংছাহ্লা মারমার ছেলে চিংথোয়াইনু মারমা (২৬)। তারা দুজনই বর্তমানে জেলা শহরের বালাঘাটা এলাকায় বসবাস করে দীর্ঘ দিন ধরে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারনা ও চাঁদাবাজী করে আসছিল। গত সোমবার রাতে জেলা শহরের বালাঘাটা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকমাস ধরে এ দুজন নিজেদের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা, অনলাইন টিভি ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক দাবী করে বান্দরবানের বিভিন্ন ঠিকাদার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্নধারদের নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা তুলে আসছিল। সোমবার স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা নিতে গেলে ব্যবসায়ীরা বান্দরবানের প্রেস ক্লাবে ফোন করে নিশ্চিত হয় এ নামের কোন সাংবাদিক বান্দরবানে কর্মরত নেই। পরে ব্যবসায়ীরা দুই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে পুলিশে দেয়। পরে ব্যবসায়ী অলক কুমার ত্রিপুরা বাদী হয়ে এ দুজনের বিরুদ্ধে সদর থানায় ৩৮৫, ৩৮৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। আজ মঙ্গলবার বান্দরবান চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন নাহার তাদের কারাগারে প্রেরন করেন।
এই ব্যাপারে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, এটা খুব উদ্ভেগজনক, এদের দ্বারা সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে, আমরা এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
আরো জানা গেছে, বান্দরবান জেলা শহরে মূল ধারার বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩৫ জন সাংবাদিক কর্মরত থাকলেও গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তা কোন ধরণের তথ্য যাচায় না করে অখ্যাত বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও অনলাইন টিভি চ্যানেলের অন্তত ৫০ সাংবাদিক নামধারীদের নামে কার্ড ইস্যূ করে। নির্বাচন সম্পর্ন হলেও এসব কার্ড মোটরসাইকেলে ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজী করে আসছে তারা।
এ বিষয়ে বান্দরবান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইয়াছির আরাফাত বলেন,আটককৃতরা নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করেছে। এখন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।