বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কে অপহরণ, পরে ব্যবসায়ির হাতে তুলে দেওয়া হয় ইয়াবা

NewsDetails_01

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তিন ব্যবসায়ীসহ এক শিশুকন্যাকে অপহরণের পর ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে ফারুক আজিজ ওরফে ফারুক খান ওরফে সাহেদ (২৭) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ফারুক সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের জনার কেঁওচিয়া সামিয়ারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জনার কেঁওচিয়ার মোনাফ চেয়ারম্যানপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় খুদে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ৯০ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।

NewsDetails_03

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৌসুমি ফলের খুদে ব্যবসায়ী আলী আকবর, মো. ফরিদ, মো. শিপন ও আলী আকবরের ভাতিজি (১১) কেরানীহাট থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বান্দরবানের সুয়ালকে যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের মনতলায় পৌঁছালে দুই যুবক অটোরিকশাটির গতি রোধ করেন। এ সময় ওই দুই যুবক নিজেদের ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে খুদে ব্যবসায়ীদের মাদক পাচারে জড়িত হিসেবে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ভয় দেখান। পরে ওই যুবকেরা শিশুকন্যাসহ চারজনকে অপহরণ করে পাশের মোনাফ চেয়ারম্যানপাড়ার একটি পরিত্যক্ত ফার্নিচারের দোকানে নিয়ে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে ওই পরিত্যক্ত ঘরে আরও দুই যুবক এসে খুদে ব্যবসায়ীদের আটকে রেখে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নয়তো ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলে ভয় দেখানো হয়।

পুলিশ সূত্র জানায়, স্থানীয় এক যুবক রাত আটটার দিকে ইয়াবা বড়িসহ চারজনকে আটক করার বিষয়ে পুলিশের কাছে খবর পাঠান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৮টি ইয়াবা বড়িসহ চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে আটক ব্যক্তিরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদেরকে অপহরণ করে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ইয়াবা বড়ি দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি পুলিশেরও সন্দেহ হয়।

সাতকানিয়া থানা-পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল ইসলাম লেন, ওই খুদে ব্যবসায়ীদের ইয়াবা বড়িসহ আটক করার পর বিষয়টি সাজানো বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী ফারুক আজিজকে গ্রেপ্তার এবং ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফারুক আজিজসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ করার পর টাকা ছিনিয়ে নেওয়া ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলার প্রস্তুতি চলার পাশাপাশি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে ।

খুদে ব্যবসায়ী মো. ফরিদ আজ বুধবার দুপুরে সাতকানিয়া থানায় বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমাদের অপহরণ করার পর টাকাগুলো কেড়ে নেন। পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে ইয়াবা বড়ি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলে জানায় তারা। পরে ঠিকই তারা ইয়াবা বড়ি দিয়ে আমাদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল।’

আরও পড়ুন