বান্দরবান-রুমা-থানচি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন : নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

NewsDetails_01

বান্দরবানের চিম্বুক সড়কের নয় মাইল এলাকায় পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
টানা বর্ষনের কারনে বান্দরবানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি চিম্বুক সড়কের নয় মাইল এলাকায় পাহাড় ধসে রুমা ও থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে প্রবল বর্ষণের সময় ওই এলাকায় সড়কের ওপর একটি বিশাল পাহাড় ধসে পড়লে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সড়কে চলাচলকারী লোকজন এখন দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। পাহাড়ে ভারী বর্ষণের কারণে বান্দরবানের পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থাকা জনগণদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য জেলা উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে এবং জেলার সাতটি উপজেলায় খোলা হয়েছে ১২৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ।
আরো জানা গেছে, জেলা সদরের ইসলামপুর, কালাঘাটা, বালাঘাটা, ইসলাম পুর, লাঙ্গীপাড়া, বড়ুয়ার টেক, হাফেজ ঘোনাসহ বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত বাসিন্দারা রয়েছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে, তাই তাদেরকে আশ্রয় কেন্দ্রে ও নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করছে ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা।
এসময় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নোমান হোসেন, রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি একেএম জাহাঙ্গীর, সদস্য উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজুমং মারমাসহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, টানা চার দিনের ভারী বর্ষনের কারনে জেলার উপজেলা গুলোর বিভিন্ন এলাকায় বন্যা ও পাহাড় ধসের ব্যাপক আশঙ্কা দেখা যাওয়ার কারনে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদের দ্রæত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে বান্দরবান সদরে ১০টি, লামায় ৫৫টি,রুমায় ৬টি, থানচিতে ৩টি, আলীকদমে ১০টি,রোয়াংছড়িতে ২২টি ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ২০টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের পদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এদিকে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে জেলার সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে লামা উপজেলার পৌর এলাকাসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন