বান্দরবান সদর হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম

পরিবারের দাবি চিকিৎসকদের অবহেলা

NewsDetails_01

বান্দরবান সদর হাসপাতালে এক প্রসুতি মায়ের অপারেশন করতে গিয়ে নবজাতক শিশুর করুণ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আর এই ঘটনায় পরিবারের দাবি চিকিৎসকের অবহেলার কারণে প্রাণ হারান নবজাতক।

এদিকে নবজাতক এর মৃত্যুর ঘটনার সংবাদে হাসপাতাল এলাকা জুড়ে জড়ো হয় অসংখ্য সাধারণ মানুষ ও পরিবারের সদস্যরা। বুধবার (২৭ এপ্রিল) রাত নয়টায় এ ঘটনা ঘটে।

সুত্রে জানা যায়, বান্দরবান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড এর হাফেজঘোনা এলাকার বাসিন্দার পিঙ্কি আক্তারের প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে তাকে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক পিঙ্কি আক্তারকে সিজার করার অপারেশনের পরামর্শ দেন। পরিবার এবং চিকিৎসক উভয়ের সম্মতিতে বুধবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে তাকে অপারেশন রুমে নেয়া হয়। পরে প্রসুতি পিঙ্কি আক্তার এর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেওয়ার প্রেক্ষিতে তাকে সিজার না করে ডাক্তার বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে নবজাতকটিকে বের করার চেষ্টা করে। এদিকে নবজাতককে বের করতে গিয়ে তার চোখ ফেটে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং নবজাতকটি অপারেশন রুমেই মৃত্যুবরণ করে।

NewsDetails_03

এদিকে অপারেশন করার পর তার পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃত নবজাতকটিকে তুলে দিয়ে নার্স ও চিকিৎসকেরা কোন কথা না বলে দ্রুত সরে গেলে হাসপাতালে শোরগোল শুরু হয়ে যায়।

নবজাতকের বাবা রাজ মিস্ত্রী মাহাবুব আলম (২১) বলেন, চিকিৎসকের অসর্তকতায় আমার নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে, এটি কোন দূর্ঘটনা নয়, তাদের কারণে এই করুণ মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি আমার নবজাতকের হত্যার বিচার চাই।

এদিকে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ নিহার রঞ্জন নন্দী জানান, চিকিৎসকের অবহেলায় নয়, শিশুটি মায়ের পেটেই মৃত ছিলো, তাই মাকে প্রাণে বাচাঁনোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এই অপারেশন করেছে। এখানে চিকিৎসার কোন ত্রুটি নেই, বর্তমানে নবজাতকটি মারা গেলেও মা সুস্থ রয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর রাত ১১ টায় সদর হাসপাতালে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। এসময় জেলা প্রশাসক নবজাতকের অভিভাবক ও চিকিৎসকদের পরস্পর বিরোধী কথা শোনেন এবং ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা এবং দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে ব্যবস্থা নেওয়ায় আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন