বান্দরবান সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নিহত

NewsDetails_01

স্থলমাইন
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা শাতমারাগিরি সীমান্তে স্থল মাইন বিস্ফোরণে নুরুল ইসলাম (২৫) নামে এক মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সে নিহত হয়। মাইন বিস্ফোরণের পর নিহতের স্বজনরা তার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।
আরো জানা গেছে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বাড়ছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা। গত দুই সপ্তাহে এক বাংলাদেশী সহ অন্তত ৫ রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয় এবং গুরুতর আহত হয়েছে অর্ধডজন বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা।
আগষ্ট মাসে মিয়ানমার সেনা চৌকিতে হামলার পর থেকে আরাকান রাজ্যে চলা রোহিঙ্গা নিধন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত এলাকার ৭টি পয়েন্টের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আশ্রয় নেয় প্রায় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইলেও মাইন বিস্ফোরণের ভয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হচ্ছেন না রোহিঙ্গারা অনুুপ্রবেশকারীরা। তারা ওপারে পাহাড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছেন।
সীমান্তে জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেওয়া এসব রোহিঙ্গা নাগরিকরা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে আর যেন প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু, বাইশফাড়ি, আশারতলি, চাকঢালা ও সাপমারাঝিরি, লেমুছড়ি সীমান্ত সহ ৭টি পয়েন্টে বসানো হয়েছে স্থল মাইন। হতভাগা রোহিঙ্গা নাগরিকরা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে দীর্ঘ পাহাড়ী পথ পাড়ি দিলেও সীমান্তে এসে অসতর্কতা অবস্থায় স্থল মাইনে পা দিয়ে বিস্ফোরণের শিকার হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরোয়ার কামাল বলেন, ‘কাঁটাতারের ওপাশে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমান্তের সাপমারাঝিরিস্থ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ছালিদং এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাছিমের স্ত্রী গোল ছেহের (৬০), ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১১টার দিকে ৪৪নং পিলারের কাছেই রোহিঙ্গা কৃষক ছৈয়দ আহমদ (৫৫), রাত ১১টায় ৪৫নং পিলারের কাছে মায়ানমারের ফকিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোক্তার আহমদ (৪৫) নিহত হয়। এসময় তার দুই পা মাইন বিস্ফেরণে উড়ে যায়। গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশী নাগরিক হাকিম উল্লাহ’র দেহ (৪৫) মাইন বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। সে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বদিউর রহমানের পুত্র বলে জানা যায়। সর্বশেষ মাইন বিস্ফোরনে নুরুল ইসলাম (২৫) নিহত হয়।

আরও পড়ুন