বাল্যবিয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের (চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কাউন্সিলর) কেন পদচ্যুত করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বাল্যবিয়ের জন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে দায়ী করে কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বাল্যবিয়ে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন।
এসময় আদালত বলেন,জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিয়ে বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না, তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কী রান্না হচ্ছে এটা জনপ্রতিনিধিরা ভালো করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার এ ধরনের বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটলে তারা দায়ী হবেন।
আদালত আরও বলেন, জনপ্রতিনিধি হবেন, আর দায়িত্ব নেবেন না তা হবে না।
রুলে জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব,আইন সচিব, স্বরাষ্ট সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এই আদেশের অনুলিপি সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘২৪ ঘণ্টায় ৮ বাল্যবিয়ে বন্ধ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আদালত ওই প্রতিবেদন নজরে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।