মানিকছড়িতে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল স্কুল ছাত্রী

NewsDetails_01

মানিকছড়িতে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বর কনেকে অবহিত করছে ইউএনও
খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার‘হাতিমুড়া বাঁশুরী নিন্ম মাধ্যমিক’ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী জেসমিন আক্তার বিয়ে আয়োজন ভেঙ্গে দিয়েছে মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন। ফলে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল কিশোরীর জীবন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ওসমান পল্লীর অধিবাসী মো. মমতাজ উদ্দীন ওরফে মমতাজ ভান্ডারীর ৪র্থ কন্যা (সদ্য এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়া) নূর জাহান বেগম(১৬) বিয়ে ঠিক হয় চট্টগ্রাম জেলার আমানবাজার অধিবাসী আবদুল খালেকের ছেলে সৈয়দুল ইসলাম(২৫)এর সাথে। ৯ মার্চ কনের পিত্রালয়ে বিয়ের আয়োজন, দু’পক্ষের দাওয়াতী কাজ-কর্ম শেষ। ৮ মার্চ মেহেদী অনুষ্ঠানের আগেই কন্যা প্রেমিকের হাত ধরে উধাও! প্রেমিক-প্রেমিকা কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে বিয়ে করে পালিয়ে যায়। এতে কন্যার পরিবারে নেমে আসে হতাশা। কোন উপায় না পেয়ে পরিকল্পনা করেন স্কুল পড়ুয়া (ছোট মেয়ে) জেসমিন আক্তার (১৪)কে, জন্ম তারিখ ০৮-০৭-২০০৪খ্রি. বিয়ে দিয়ে আত্মীয়তা রক্ষার। ফলে সব আয়োজন ঠিকঠাক। ৯ মার্চ দুপুরে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বর হাজির। কিন্তু এর আগেই স্কুল পড়ুয়া জেসমিন আক্তার বিয়ে ঠেকাতে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করে রাখেন। বর ও কনে পক্ষের অতিথিদের খাওয়া-দাওয়া চল অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার( অ.দা) ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট রুবাইয়া আফরোজ ও অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রশীদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাজির, ভেস্তে যায় অভিভাবকের পরিকল্পনা!
এদিকে এ খবর পেয়ে অনুষ্ঠান স্থলে ছুঁটে আসেন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেত্রী নূরনাহার বেগম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাল্য বিয়ে কুফল সর্ম্পকে বুঝানোর পর এবং কনের বড় বোনের ঘটনা জানার পর উপজেলা অফিসার(অ.দা) রুবাইয়া আফরোজ অভিভাবকের মুচলেকা নিয়ে বাল্য বিয়ে সব আয়োজন ভেঙ্গে দেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধের খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশে-পাশে। উপস্থিত সবাই বাল্য বিয়ে বন্ধ করায় প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন