মোরা’র আঘাতে রুমায় ১ হাজার ৯২৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত

NewsDetails_01

বান্দরবানের রুমায় দোকানের উপর ভেঙ্গে পড়েছে গাছ
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় গত মঙ্গলবারের ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ৪টি ইউনিয়নের ঘর-বাড়ী, বাগান বাড়ি ও ক্ষেত খামারের ঘর মোট ১হাজার ৯২৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রন্থের সংখ্যা ৫শ ৮৯ পরিবার এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ১ হাজার ৩শ ৩৫ টি। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রুমা উপজেলা প্রশাসন।
সূত্র জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা মুঠোফোনে ও বিভিন্নভাবে প্রাথমিকভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থের নামের তালিকা চুড়ান্ত করতে ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের নাম সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব তালিকা পেলে কি পরিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা জানা যাবে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান অংথোয়াইচিং মারমা জানিয়েছেন।
আরো জানা গেছে, মানুষের প্রাণের ক্ষতি না হলেও ব্যাপক আকারে সাধারন মানুষের আমের বাগান, কাজু বাদাম বাগান, পেঁপে বাগান, কলা বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কৃষি বিভাগের উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসূফ মিয়া পাহাড়বার্তাকে জানান, পাহাড়ে বিভিন্ন জাতের আবাদকৃত বিভিন্ন প্রকার ফল ও ফলের বাগান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর দাপ্তরিক ভাষ্য মতে, আম, কাঠাল, কলা, ও পেঁপে’র চাষাবাদকৃত সব মিলে ১৮হেক্টর জমিতে ফল ও গাছের ক্ষতি হয়েছে।
রুমা সদরে ৬নং ওয়ার্ডের বটতলী পাড়ার বাসিন্দা বাগান চাষি মেলাং মারমা ও আমতলী পাড়া মংথোয়াইসা মারমা বলেন, মঙ্গলবারে বইয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাসে বাগান কাজু বাদাম সব ভেঙ্গে গেছে। বাগান থেকে অর্ধেকের বীজ ঘরে উঠানো হয়নি। তাছাড়া আম ও লিচুসহ নানা ধরনের ফলদ বৃক্ষ ভেঙ্গে যায়। এতে প্রায় ১ লাখ টাকার বেশি ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হয়েছে বলে মেলাং মারমা জানায়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় “মোরা”র আঘাতে উপজেলা সদরে পুরো এলাকার গত মঙ্গলবার সকাল বিদ্যুৎ সরবরাহ বিছিন্ন রয়েছে। কবে নাগাদ তা ঠিক হবে, তা বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় “মোরা” পরবর্তী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রুমা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর উদ্যোগে বিভিন্ন পাড়া গ্রামে গিয়ে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণি চিকিৎসার কার্যক্রম আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।
রুমা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মংক্যচিং পাহাড়বার্তাকে জানান, সকাল থেকে সদরের পার্শ্ববতী রুমাচর পাড়া, থানা পাড়া, লুকছড়ি পাড়া, পলি পাড়া, রুমাচর পাড়া ছাইপো পাড়া ও সেগুন পাড়া পশুপ্রাণি চিকিৎসা দিতে চষে বেড়িয়েছেন। কেননা, পারিবারিক জীবনে ঘরের প্রাণি সম্পদ অর্থ ও ভোজ্য খাদ্যের সাথে জড়িত। তাছাড়া দ্রুত খবর পাইতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কোথায় বা কোন কোন পাড়ার পশু প্রাণি গুলো কি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তা খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড়” মোরা” পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য রুমা উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মংক্যচিং মারমাকে আহবায়ক করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

আরও পড়ুন