রাঙামাটিতে জেলেদের জন্য আরো ৫ শত মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ

NewsDetails_01

করোনা করেছে ঘরবন্দি, মাছ আহরণ নিষেধাজ্ঞা যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একান্নভর্তি পরিবারে টাসা জেলে পরিবারে একেবারে আয় রোজগারহীন দিনমান জীবনযাপন নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা। ভরসা একমাত্র সরকারীভাবে পাওয়া যৎসামান্য খাদ্যশস্য ওপর। তাও কোনরকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকা। প্রতিকুল পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় মাছ আহরণ নিষিদ্ধের মেয়াদ আরো একমাস বৃদ্ধি হওয়ায় জেলে পরিবারগুলোতে নেমে আসে ঘোর অনামিষা। জেলেদের এসব দিক বিবেচনা করে আরো ৫ শত মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সরকারীভাবে। গত ৩১ আগষ্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বরাদ্দ দেয়।

NewsDetails_03

রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপক নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ঠিক সময়ে এবছর কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের বাইরে আরো একমাস বৃদ্ধি করায় কাপ্তাই হ্রদের উপর নির্ভরশীল মৎস্যজীবিরা সংকটে পড়ে। তার ওপর করোনা তো আছেই। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করলে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গত আগষ্ট মাসের জন্য আরো ৫ শত মেট্রিক টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেয়।

বিএফডিসি সুত্র থেকে জানা যায়, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার ২৫ হাজার ৩১ মৎস্যজীবি পরিবারকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৫০০ টন বিশেষ ভিজিএফ (চাল) খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। বরাদ্দের আওতায় কাপ্তাই হ্রদ তীরবর্তী রাঙামাটির ৮ ও খাগড়াছড়ির ২ উপজেলা নিয়ে দশ উপজেলার নিবন্ধিত মৎস্যজীবি পরিবারগুলোকে পরিবার প্রতি ২০ কেজি করে খাদ্যশস্য (চাল) সহায়তা প্রদান করা হবে। এর আগে প্রথম তিনমাসের জন্য ১,৩৩৫ মেট্রিক টন ভিজিএফ খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন