রাঙামাটির সব ঈদের জামাত মসজিদে, মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি

NewsDetails_01

পবিত্র ঈদু-উল-ফিতর এর মত আসন্ন ঈদ উল আযহার জামাত রাঙামাটিতে স্ব স্ব মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

জেলা সদরের ৫টি স্থানে ঈদ জামাত সংযুক্ত স্ব-স্ব মসজিদে মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ১৩টি স্বাস্থ্য বিধি মেনেই ঈদের জামাত সম্পন্ন করতে হবে। জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইতিমধ্যে ঈদের জামাতের সব রকম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঈদ জামাত কমিটি।

NewsDetails_03

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি শহরে ৫টি স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এবার সংশ্লিষ্ট ঈদ জামাতের অধীন স্ব স্ব মসজিদে ঈদের নামাযের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শহরের তবলছড়ি এলাকার ১১টি, রিজার্ভ বাজার-পুরাতন বাস স্টেশন এলাকার ৯টি, বনরুপা-রাজবাড়ী এলাকার ১৩টি, সদর হাসাপাতাল-ভেদভেদী এলাকার ১০টি মসজিদে এবার ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বাস্থ্য ঝুঁিকর কথা মাথায় রেখে স্ব-স্ব মসজিদ কমিটি ইতিমধ্যে এক বা একাধিক ঈদ জামাতের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঈদের জামাত সমুহ অনুষ্ঠিত হবে।

সুত্র থেকে জানা যায়, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মতে রাঙামাটির প্রতিটি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নির্দেশনার মধ্যে ঈদ জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বেছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু, বৃদ্ধ, যে কোনও অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। নামায শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে। নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

গত ১৪ জুলাই জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ঈদ উল আযহা উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় সুষ্ঠু, শান্তিপুর্ণ, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদ জামাত আয়োজনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কমিটি এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

আরও পড়ুন