রুমায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারকে লাথি মারার অভিযোগ

NewsDetails_01

বান্দরবানের রুমার পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক মহিলা মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলায় চলছে আলোচনা সমালোচনা ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে রুমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি খাবার হোটেলে ভাত খাচ্ছিলেন মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা (৩০)। এ সময় উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা ওই খাবার হোটেলে যান । মহিলা মেম্বার ছোমাচিং এর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া এবং মহিলা মেম্বারের পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি চেয়ারম্যানের সামনে আলোচনায় আনেন ছোমাচিং এর সাথে থাকা কয়েকজন । এ সময় পদত্যাগের ব্যাপারটি নিয়ে তর্কে জড়ান দুজনই । এক পর্যায়ে সবার সামনে হোটেলে ছোমাচিং মেম্বারকে লাথি মেরে ফেলে দেন চেয়ারম্যান উহ্লা মং । পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে উত্তেজিত দুইজনের ঝগড়া থামান। ছোমাচিং পাইন্দু ইউনিয়নে ১, ২ ও ৩ নং সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার ।

এদিকে বুধবার বিকালে মহিলা মেম্বার ছোমাচিং মারমা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে মিমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা তার বাসায় ডেকে পাঠান ।

পরে উপজেলা চেয়ারম্যান পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে মহিলা মেম্বারের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেও রাজি হননি তিনি ।

NewsDetails_03

জানতে চাইলে চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, ছোমাচিং মেম্বার আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন । তাই তাকে পা দিয়ে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি।

কৃতকর্মের জন্য মহিলা মেম্বার এর কাছে ক্ষমা চাইবেন না। প্রয়োজনে ১০বছর জেলে থাকতে রাজি বলে জানান উহ্লামং চেয়ারম্যান।

এদিকে পাইন্দু ইউনিয়নে (১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) মহিলা মেম্বার ছোমাচিং বলেন, কোনো মিমাংসা হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে সময় ও সুযোগ বুঝে থানায় সাধারণ ডাইরী (জিডি) করব ।

রুমা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আবুল কাশেম জানান, আমি ঘটানাটি শুনেছি । তবে কেউ এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা করেনি ।

আরও পড়ুন