লংগদুতে কৃষকের ৩ একর জমির পাকাধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস রোধে সারা দেশের মানুষ যখন ঘরবন্দী, তখন প্রাণের ভয়ে শ্রমিকেরাও গৃহবন্দী। শ্রমিক সংকটে পাকা ধান কাটতে না পারা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সারা দেশের কৃষকরা।
গত কদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলতি মৌসুমের আগাম ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা আতঙ্কে ধানকাটা শ্রমিক সঙ্কট দেখা দেয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলার কৃষকরা। ঠিক সেই সময়ে কৃষকদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ।
উপজেলার শ্রমিক সঙ্কটে থাকা এলাকাগুলোতে ধান কেটে কৃষককে সহায়তা করছে লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শুধু ধান কাটাই নয়, ধান মাড়ানো থেকে শুরু করে কৃষকদের ঘরে পর্যন্ত ধান পৌঁছে দেন তারা।
একইসঙ্গে খাদ্য সংকটে থাকা অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে খাদ্য সহায়তা তুলে দিচ্ছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আজ বুধবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে উপজেলার আঠারকছড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের যাত্রামুড়া এলাকার বাসিন্দা সুরুজ মিয়ার ৩ একর জমির পাকা ধান স্বেচ্ছাশ্রমে কেটে ঘরে তোলার মধ্যে দিয়ে অনানুষ্ঠানিক ধান কাটার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এসময় রাঙ্গামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক নেছার উদ্দীন হৃদয়, লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান রাজু ও যুগ্ম সম্পাদক বাবলা দাশ, সাবেক লংগদু মডেল কলেজ ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর সরকার, রাঙ্গামাটি কলেজ ছাত্রলীগ এর ছাত্র নেতা নুরুল ইসলাম এবং অাটারকছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রায়হান উদ্দিন রানা, জুয়েল রানা, মুস্তাফিজসহ প্রায় ২৫-৩০ জন নেতাকর্মীরা ধান কাটায় অংশ নেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের বলেন,সারাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। এতে শ্রমিক সংকটে কৃষকরা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কেটে দিতে। প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা এগিয়ে এসেছি।
নেতাকর্মীরা আরো জানান,যেকোন দুর্যোগ,ক্রান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষ ছাত্রলীগকে পাশে পেয়েছে। এবারও করোনা মোকাবিলায় জনগণ ও বোরো মৌসুমে কৃষকদের পাশে থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আজ প্রাথমিকভাবে (৩) একর জমির ধান কেটে কৃষকের বাড়িতে পৌছে দিয়েছি। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।