লামায় ইয়াংছা খালের ভাঙ্গন কবলে ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসা

NewsDetails_01

লামায় ইয়াংছা খালের ধসে পড়ছে মাদ্রাসার একাংশ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা খালের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে ইয়াংছা মাদ্রাসা ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানা। ইতিমধ্যে মাদ্রাসাটির দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের অযুখানাসহ অধিকাংশ জায়গা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এখনি ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে চলতি বর্ষায় মৌসুমেই ভবনসহ বাকি অংশটুকু উজান থেকে নেমে আসা পানির স্রোতের টানে খালে বিলিন হয়ে যেতে পারে। এতে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়বে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার প্রায় তিনশ কোমলমতি শিক্ষার্থী। ১৯ বছরের পুরাতন এ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি রক্ষায় সরকারের জরুরী পদক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
জানা যায়, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা কাঁঠালছড়া এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগী ফয়জুল উলুম হামিউচ্ছুন্নাহ হেফজখানা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানেও প্রতিষ্ঠানটি ছাড়া ওই এলাকায় আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটির মাদ্রাসা, হেফজখানা ও এতিমখানা পরিচালনার মধ্য দিয়ে কোমলমতি শিশুদের মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তার করে আসছে। স্থানীয় জনসাধারণ ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায় চলে মাদ্রাসাটি। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে মাদ্রাসা শাখায় প্লে¬থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ২শত শিক্ষার্থী, ৬ষ্ট থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থী, এতিমখানায় ২২জন শিশু অধ্যায়নরত আছে। পাশাপাশি মাদ্রাসাটিতে সকাল বেলায় পরিচালিত মোক্তবে ২ শতাধিক শিশু দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করছে। ১২ জন শিক্ষক ও একটি সুন্দর পরিচালনা কমিটি দ্বারা মাদ্রাসাটি এগিয়ে চলছে। কিন্তু গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের ফলে ইয়াংছা খালের আগা থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে মাদ্রাসাটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ইতিমধ্যে অযুখানার একাংশ খালে ধসে পড়েছে। এছাড়া মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনসহ অন্য ভবনগুলোও যে কোন মুহুর্তে খালে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক মাওলানা আব্দুল মালেক বলেন,ইয়াংছা খালের পানির স্রোতের টানে মাদ্রাসা ভবন ও স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। নিজস্ব তহবিল না থাকায় ভাঙ্গনরোধে পদক্ষেপ নেয়া যাচ্ছেনা। তিনি আরো বলেন, ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা করা না হলে অতিশ্রীঘ্রই মাদ্রাসাটি খালে ধসে পড়তে পারে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আ প্রু চিং মার্মা ও মো.শহীদুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসাটি ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯, ৪ ও ১নং ওয়ার্ডের একমাত্র ধর্মীয় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাটি রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। তা না হলে মাদ্রাসাটি যে কোন মুহুর্তে খালে বিলীন হতে পারে,অধ্যয়নরত কোমল মতি শিশুরা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়বে।
এ বিষয়ে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, মাদ্রাসাটির ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছি। অতি স্বল্প সময়ে ব্যাপকভাবে ভেঙ্গে গেছে মাদ্রাসাটি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল।

আরও পড়ুন