লামায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ের জায়গা দখলের হিড়িক

NewsDetails_01

লামায় উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের জায়গায় নির্মাণাধীন দোকান
বান্দরবানের লামা উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তরের রুপসীপাড়া ইউনিয়নস্থ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় কাম কোয়ার্টারের জায়গা অবৈধভাবে দখলের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ জায়গায় দোকান পাঠ নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা দখলে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে দখলদারদের উচ্ছেদে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় কাম কোয়ার্টারের নামে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নে ২৯৪নং দরদরী মৌজার হোল্ডিং-১৪ ও ১০নং খতিয়ান মূলে ২৪৪৭ দাগে ৩৩ শতক জায়গা রয়েছে। রুপসীপাড়া বাজারের ওপর অবস্থিত কায়ালয় মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় চারপাশের অধিকাংশ জায়গা দোকান-পাট নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার নতুন করে স্থানীয় মো. আলম, কামাল উদ্দিন, পলাশ সহ অনেকে দোকানঘর তৈরি শুরু করে। খবর পেয়ে কৃষি অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসএএও) রতন কুমার দেব, গোপন চৌধুরী ও অঞ্জুশ্রী দে বাধা প্রদান করেন। এতে দোকান ঘর নির্মাণ করতে পারেনি তারা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের জায়গায় ইতিমধ্যে ১৮টি দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রভাবশালীরা। এরা হলেন- মুজিবুর রহমান, রফিক মাঝি, রাসেল, ইউনুচ মিয়া, ইউছুপ আলী, সিদ্দিক জমাদদার, আশরাফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক (২টি), মো. আলমগীর, মো. জাহাঙ্গীর, তারিপ, এনাল, আনিচ, কাইয়ুম, মো. আলী ও ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্র।
আজ বুধবার নতুন করে দোকান ঘর নির্মাণ করে জায়গা দখল করতে যাওয়া কামাল উদ্দিন বলেন, পূর্বে যারা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা করছে তাদের সাথে কৃষি কার্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গোপন চুক্তি রয়েছে। যার কারণে তারা নিরবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সবাই যখন দখল করেছে তখন আমরা দখল করলে দোষ কি।
এবিষয়ে কৃষি অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসএএও অঞ্জুশ্রী দে বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার আগেই অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। আমি আসার পর থেকে কাউকে দখলের সুযোগ দেয়া হয়নি। বুধভার কয়েকজন জায়গায় দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয়া হয়।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে লামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, রুপসীপাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের বেদখলকৃত জায়গা পুণরুদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে কথা হয়েছে। সরকারী জায়গা দখল করে কেউ স্থায়ী হতে পারবেনা। শীঘ্রই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে করা হবে।

আরও পড়ুন