লামায় এক ভাইয়ের অর্ধ শতাধিক গাছ কাটলেন আরেক ভাই

NewsDetails_01

পাহাড়ি জায়গার সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বান্দরবানের লামায় বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে আপন ছোট ভাইয়ের সৃজিত বাগানের ৭০টি গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার সরই ইউনিয়নের মাঝের চাকপাড়া ঝিরির বাসিন্দা মৃত আবদুল বারীর ছেলে এস্তোফ আলী আজ শনিবার দুপুরে বড় ভাই দেরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় বড় ভাই দেরাজ মিয়াকে বিবাদী করে স্থানীয় ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এস্তোফ আলী।

অভিযোগে জানা যায়, কৃষক এস্তোফ আলী ১৯৭৯-৮০ সালে সরকার কর্র্তৃক উপজেলার সরই ইউনিয়নস্থ ডলুছড়ি মৌজার আর/১৯নং হোল্ডিং মূলে ৪ একর পাহাড়ি জায়গা বন্দোবস্তি পায়। বন্দোবস্তি পাওয়ার পর ওই জায়গায় বহু কায়িক শ্রম ও অর্থ ব্যয়ে বিভিন্ন বনজ ও ফলদ বাগানসহ বসতঘর সৃজন করে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগ করে আসছেন এস্তোফ আলী। সীমানা সংলগ্ন জায়গার মালিক হওয়ায় বড় ভাই দেরাজ মিয়া (৮৫) গত শুক্রবার গভীর রাতে লোকজন লাগিয়ে বাগানের ৮-৯ বছর বয়সী ৭০টি ম্যালেরিয়া গাছ কেটে দেয়। এতে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়।

NewsDetails_03

ভুক্তভোগী কৃষক এস্তোফ আলী জানায়, সীমানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সীমানা চিহ্নিত করে দেন। কিন্তু বড় ভাই দেরাজ মিয়া সিদ্ধান্ত অমান্য করে আমার সৃজিত বাগানের গাছ কেটে দেন। শুক্রবার সকালে গাছ কেটে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বড় ভাই দেরাজ মিয়া বিভিন্ন ধরণের হুমকিও দেন। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত দেরাজ মিয়া জানান, এস্তোফ আলীর অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোগিত।

এই বিষয়ে সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফরিদ উল আলম বলেন, কয়েক বছর আগে দেরাজ মিয়া ও এস্তোফ আলীর মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম। কিন্তু দেরাজ মিয়া আবারো তার ছোট ভাইয়ের সৃজিত গাছ কেটে দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে এস্তোফ আলীকে পুলিশের আশ্রয় নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে ক্যয়াজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. আবুল হাসেম বলেন, এস্তোফ আলীর সৃজিত বাগানের গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন