লামায় দুই ঘটনায় ২ জনের লাশ উদ্ধার : পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৪

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে রবিউল আলম (২৮) নামের এক রিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে লামা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রবিউল আলম লামা সদর ইউনিয়নের হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো. নাছিরের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। আটকরা হলো, লামা পৌরসভা এলাকার নয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে ওসমান গণি(২২), টিটি এন্ড ডিসি পাড়ার বাসিন্দা মকরুম আলীর ছেলে ফজর আলী (২৮) ও চকরিয়া উপজেলার বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পানিস্যাবিল গ্রামের বাসিন্দা রফিক আহমদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (২৩)।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিউল আলমের স্বজনেরা ঘাতকদের আটক করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এতে এমরান (১৮), মিসকান (১৮) ও সাইদুল (১৮) আহত হন। এদিকে একই দিন দুপুরে উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি মুরুং পাড়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শনিবার বিকাল ৩টার দিকে বাবলু লামা বাজার থেকে কোরবানি করার জন্য একটি গরু কিনে পাশের বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পানিস্যাবিলস্থ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় টাউন হলের সামনে রবিউল আলমের রিক্সার সঙ্গে বাবলুর গরু ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের কথা কাটাকাটির পর রবিউল আলম রিক্সা নিয়ে চলে যাওয়ার সময় বাবলুসহ সঙ্গীয় শফি উলম ও সাহেদ উত্তেজিত হয়ে পিছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে রবিউল আলম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। আটকদের বরাত দিয়ে থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ বলেন, বাবলু, শফি আলম ও সাহেদের লাঠির আঘাতে রিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত রবিউল আলমের স্বজনেরা জানান, বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের পানিস্যাবিল গ্রামের বাবলু, শফি আলম ও সাহেদ মিলে রবিউল আলমকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এই ব্যাপারে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. লেয়াকত আলী সাংবাদিকদের জানান, রিক্সা চালকের মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে প্রাথমিকভাবে জিঙ্গাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং উদ্ধার অজ্ঞাত যুবকের লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন