লামায় পাশের হারে স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসা এগিয়ে

NewsDetails_01

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১০টি উচ্চ ও নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি ও ৪টি মাদরাসার দাখিল পরীক্ষায় ১ হাজার ৩৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯০৩জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮ জন। এসএসসি পরীক্ষায় মোট পাশের হার ৬৩% ও দাখিল পরীক্ষায় ৮৪% ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় পাশের হার ৭১%। ফলাফলে এবারও স্কুলের চেয়ে মাদ্রাসাগুলো ভালো করেছে। তবে জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে স্কুলগুলো। উপজেলার স্কুল পর্যায়ে ৪টি ও মাদ্রাসা পর্যায়ে ১টি কেন্দ্রে একযোগে গত ফেব্রুয়ারী মাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঘোষিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যায়, উপজেলার লামা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৩৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন, ফেল করেছে ৫৭জন, পাশের হার ৭০%। আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০৭ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৯৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, ফেল করেছে ১৪জন, পাশের হার ৮৭%। লামামুখ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮৩ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫১জন, এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, ফেল করেছে ৩২জন, পাশের হার ৬১%। ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫২ জনের মধ্যে পাশ করেছে ২৪জন, এ বিদ্যালয়েও কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, ফেল করেছে ২৮জন, পাশের হার ৪৬%। হায়দারনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করে ২৬ জন। এ বিদ্যালয়ে কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। ফেল করেছে ১৮জন, পাশের হার ৫৯%। ইয়াংছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫৭জন, ফেল করেছে ৪১জন, পাশের হার ৫৮%। ফাইতং উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৯২ জন, ফেল করেছে ৪১জন, কেউ জিপিএ-৫ পায়নি, পাশের হার ৬৯%। গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৭১জন, জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, ফেল করেছে ১৩৯জন, পাশের হার ৩৪%। কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ৫৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৫০জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, ফেল করেছে ৩জন, পাশের হার ৯৪%। শতকরা হারে সবচেয়ে কম পাশ করেছে গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়ের ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। এ কারনে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তারা ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের দায়ী করে বলেন, শিক্ষকদের অবহেলা ও ব্যবসায়িক মনোভাবের কারনে ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। তবে ভালো ফলাফল করেছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল।
অন্যদিকে, লামা ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার ৫৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪৮জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, ফেল করেছে ৮জন, পাশের হার ৮৬%। এ বিদ্যালয়ের ভোকেশনালে ২৮জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২০জন। ফেল করেছে ৮জন। মোট পাশের হার ৭১%। লাইনঝিরি দাখিল মাদ্রাসার ৭৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৬৩জন, কেউ জিপিএ-৫ পায়নি। ফেল করেছে ১৪৭জন, পাশের হার ৮২%। তামেরি মিল্লাত দাখিল মাদ্রাসার ১৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ১৫ জন, জিপিএ-৫ পায়নি কেউ, ফেল করেছে ৩জন, পাশের হার ৮৩%। হায়দারনাশী দাখিল মাদ্রাসার ৪৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ৪১জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১জন, ফেল করেছে ৭জন, পাশের হার ৮১%। শতকরা হারে সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে লামা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা।

আরও পড়ুন