লামায় মন্দিরে হামলার ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় আসামী প্রায় ৭শ : গ্রেফতার ৪জন
কুমিল্লায় কোরান অবমাননার ঘটনার জের ধরে বান্দরবানের লামা উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সকালে লামা বাজারে সর্বস্তরের মুসলিম তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ এর পর লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে দফায় দফায় হামলা, হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি ভংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সহ পৃথক ২টি মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে লামা থানায় ৪৮ জনকে আসামী এবং ২০০ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে একটি মামলা করে। অন্যদিকে লামা বাজারের দোকান ভাঙচুর এবং পুজার মণ্ডপে হামলার ঘটনায় ৯৮ জনকে এজাহার নামীয় ও ৩৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ১৪৬ ও অজ্ঞাত আসামী ৫৫০ জন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, দুই মামলায় এজাহার নামীয় ১৪৬ জনকে আসামী এবং ৫৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তবে এখন নাম প্রকাশ করা যাবেনা, অভিযান চলমান থাকবে।
সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় লামা পৌরসভার বিএনপি মনোনীত সাবেক মেয়র প্রার্থী শাহীনকে পুলিশের উপর হামলা মামলার প্রধান আসামী করে ৪৮ জন এবং ২০০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত,কোরান অবমাননার মানববন্ধন শেষে শত শত মুসল্লি জড়ো হয়ে লামা বাজারের কেন্দ্রিয় দূর্গাপূজা উৎসবের প্রধান গেইট ও লামার কেন্দ্রীয় হরি মন্দিরে ইটপাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি ভাংচুর চালানো হয়। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ও স্থানীয় জনতার একাংশ প্রতিরোধ গড়ে তুলে ও এক পর্যায়ে পুলিশ ফাকা গুলি বর্ষন করে। এসময় পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়, গুরতর আহত হয় লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এসময় ত্রিমুখী সংঘর্ষে মুসুল্লিসহ অর্ধশত লোক আহত হয়। পরে বাজারে অবস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ৪০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৮টি বসত ঘরে ভাংচুর চালিয়ে লুটপাট করা হয়।