লামায় ‘ম্যাজিক গাড়ি’র বিরুদ্ধে আন্দোলন

NewsDetails_01

লামায় ম্যাজিক গাড়ির বিরুদ্ধে আন্দোলনের একাংশ
বান্দরবানের লামায় ২১ এপ্রিল থেকে লামা পৌরশহরে ১০-১২টি ‘ম্যাজিক’ গাড়ি পরিবহনে যুক্ত হয়। কোন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে চকরিয়া কেন্দ্রিক জীপ মালিক সমিতি চার চাকার এসব গাড়ি চালু করায় স্থানীয় সিএনজি, মাহিন্দ্রা, টমটম ও অটো রিক্সার চাহিদা শুণ্যের কৌটায় নেমে আসে। ফলে এর সাথে জড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের মালিকসহ প্রায় ১২শ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। পরে আন্দোলনে নামে সিএনজি, মাহিন্দ্রা, টমটম ও অটো-রিক্সা চালকরা। এক পর্যায়ে ‘ছাড়পোকা’ নামক ম্যাজিক পরিবহনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ন্ত্রনে আনলেন প্রশাসন।
শনিবার চালকরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে রবিবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদের সামনে সড়কের দু’দ্বারে অটোরিক্সা, মাহিন্দ্রা, সিএনজি, টমটম দীর্ঘ লাইনে দাঁড় করিয়ে ম্যাজিক গাড়ি প্রত্যাহারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু’র নিকট লিখিতভাবে দাবী জানায়। অবশেষে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ব্যতিত রেখে ম্যাজিক গাড়ি না চলার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিষয়টি সমন্বয় করায়, চালকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় বলে জানান লামা সিএনজি, মাহিন্দ্রা, টমটম ও অটো-রিক্সা চালক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড’র সভাপতি মো. হানিফ।
সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা জনিত কারণে; হাইওয়ে তিন চাকার গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর বিকল্প হিসেবে চার চাকার ম্যাজিক গাড়ি নামক ভারতের তৈরি এ পরিবহন মহাসড়কে যুক্ত হয়। অপরদিকে তিন চাকার গাড়িগুলো উপজেলা ও পৌরশহরে যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত হয়ে স্থানীয় প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মসহায়ক হয়। এদিকে অতি লাভের আশায় জীপ মালিক সমিতির পক্ষ থেকে চার চাকার ‘ম্যাজিক গাড়ি’ গাড়ি লামা পৌর শহরে যাত্রী পরিবহন শুরু করায়, এক চরম হতাশায় পড়ে তিন চাকা গাড়ির মালিক-শ্রমিকরা। অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সাময়িক নিস্পত্তি হয়।

আরও পড়ুন