লামা পৌরসভার ১৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

NewsDetails_01

লামা পৌরসভার বাজেট ঘোষণা করছেন পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম
নতুন কোন করারোপ ছাড়াই বান্দরবানের লামা পৌরসভার ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের সংশোধিত ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪৯ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হযেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম এ বাজেট ঘোষণা করেন। পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাজেট অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নুরুল হক, পৌরসভার প্রকৌশলী রাজীব বড়ুয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া অতিথি ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার কাউন্সিলর মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ হোসেন বাদশা, মো. সাইফুদ্দিন, মো. ফরিদ, মো. জাকির হোসেন, মো.ই¦উছুপ আলী, জোসনা বেগম, জাহানারা বেগম ও সাকেরা বেগম, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি ইউছুপ মজুমদারসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি প্রমুখ।
ঘোষিত বাজেটে এ বছরের মোট রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৫৫লাখ ৯৬ হাজার ১৭টাকা। মোট রাজস্ব ব্যয় ১ কোটি ৫১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৮টাকা। সমাপনী স্থিতি ৪ লাখ ২২ হাজার ১৪৯ টাকা। এ খাতে উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের মধ্যে সাধারণ সংস্থাপন শাখার জন্য ১ কোটি ১৯ লাখ ৯ হাজার১৪৮ টাকা, স্বাস্থ্য ও পয়ঃ প্রণালী খাতে ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৭২০ টাকা, শিক্ষা খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া নতুন অর্থ বছরে বিধি মোতাবেক পুণঃ এ্যাসেসম্যান্ট খরচ হিসেবে ১ লাখ টাকা, পানি সরবরাহ ব্যয় ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকাসহ প্রযোজনীয় বরাদ্দ রাাখা হয়েছে।
উন্নয়ন খাতে মোট আয় ও ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আয় বিবরণে সরকার প্রদত্ত উন্নয়ন সহায়তা মঞ্জুরী ১ কোটি টাকা, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড হতে ৫ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রদত্ত মঞ্জুরী ১০ লাখ, পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (সরকার কর্তৃক বিশেষ বরাদ্দ) হতে ৪ কোটি টাকা, পৌর ভবন সম্প্রসারণ ৩০ লাখ এবং গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প হতে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ব্যয় বিবরণে অবকাঠামো উন্নয়ন ৭ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার টাকা, পৌর ভবন সম্প্রসারণ ও পার্ক, মার্কেট নির্মাণ বাবদ ২ কোটি ১০ লাখ, অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাজেট অনুষ্ঠানে মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পৌরসভার উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। তার আন্তরিকতায় তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা থেকে এটি দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। শেষে বাজেটের সফল বাস্তবায়নের জন্য সর্বস্তরের জনগণ ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

আরও পড়ুন