শান্তিচুক্তি করেছিল বলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে আছে : বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পার্বত্য শান্তিচুক্তি করেছিল বলে আজ পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে। আজ পাহাড়ের কোন রকম অশান্তি নেই ,শান্তিতে সবাই নিজ নিজ উৎসবের আনন্দে মূখরিত। বান্দরবানের রাজবিলাতে মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি) লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় তিনি আরো বলেন ,আজ শান্তিচুক্তির ফলে পাহাড়ে শিক্ষা,স্বাস্থ্য,যোগাযোগ,কৃষি ও অন্যান্যদিকে অমূল পরির্বতন এসেছে। আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নে পাহাড়ের সুবাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, উন্নয়নের জোয়ারে আজ পার্বত্য অঞ্চল। বান্দরবানের রাজবিলাতে মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও মৈত্রী পানি বর্ষণ (জলকেলি) লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকালে রাজবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এই ঐহিত্যবাহী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এসময় ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। রাজবিলা সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক ক্য অং প্রু মারমা এর সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম, পুলিশ সুপার মো.জাকির হোসেন মজুমদার,পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ,বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যা সা প্রু,সদস্য সিং ইয়ং ম্রো,সদস্য তিংতিং ম্যা, বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ, ২ নং কুহালং ইউনিয়ান পরিষদের চেয়ারম্যান সানু প্রু মার্মা,সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পাই হ্লা অং মারমা,জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা কোম্পানী সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ, বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কাউছার সোহাগ,রাজবিলা সাংগ্রাইং উৎসব উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব মং নু মারমা,রাজবিলা ইউনিয়ান পরিষদের সদস্য মং য়েনু মারমাসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্টানের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এদিকে জলকেলি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। রশি টানা টানি, বলি খেলা, কাবাডি খেলা সহ নানা ইভেন্টে অংশ নেয় সকলে। পরে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাইং পোয়েঃ ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন