শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে রোয়াংছড়ি

NewsDetails_01

রোয়াংছড়ির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষার উন্নয়নে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি ও বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় স্কুল স্থাপন করে চলেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক বছর আগে রোয়াংছড়িতে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা প্রায় ২৬টি ছিল। বর্তমান সরকার আমলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩-২০১৪ সালের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রায় ১৯টি রেজিষ্ট্রার স্কুল জাতীয়করণে ফলে প্রায় ৪৫টি স্কুল উন্নীত হয়েছে।
আরো জানা গেছে, সরকার নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিটি স্কুলে সংস্কার এবং সম্প্রসারণসহ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করে চলেছে। গরীব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে স্কুল মুখি হয়েছে। বর্তমান সরকার শিক্ষা মান উন্নয়নে ধারাবাহিকতায় দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউএনডিপি (সিএইচটিডিএফ)পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সদ্য জাতীয়করণ করা হয়েছে। এ স্কুলগুলোতে শিক্ষকদের গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেলে পিছিয়ে পড়া ও ঝড়ে পড়া শিশুরা প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।
সোয়ানলু পাড়া কারবারি (গ্রাম প্রধান) সাপ্লাই বম পাহাড়বার্তাকে বলেন, আগে রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নে বাসিন্দা হলেও কাছে কোন স্কুল না থাকায় ছেলে মেয়েদের দূরের স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে হয়েছে। কিন্তু এখন আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় স্কুল স্থাপন করায় দূরের স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করতে হয় না।
রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা বলেন, আগের তুলনায় এখন প্রায় গ্রামগঞ্জে বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা সরকার নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এখন সরকার ১৯টি রেজিষ্ট্রার স্কুলগুলো জাতীয়করণ করায় বর্তমানে ৪৫টি স্কুল রয়েছে। এতে শিশুরা অন্তত নিজ বাড়ি থেকে দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে লেখাপড়া করতে সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয়, আরো তৃতীয় ধাপ হিসেবে ইউএনডিপি (সিএইচটিডিএফ) পরিচালিত ১৭টি স্কুল সরকার গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। এটাও চালু হয়ে গেলে আরো দুর্গম পাহাড়ের শিশুরা পড়ালেখার সুযোগ পাবে।
উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মো: আক্তার উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মো: কামাল হোসেন বলেন, ২১টি রেজিটার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৭টি ইউএনডিপি পরিচালিত বেসরকারি স্কুলসহ ১৭৩ জন শিক্ষককে জাতীয় করণ করা হয়েছে। ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। তা ছাড়া শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি,শিক্ষার্থীদের মিড ডের আওতায় ডাবিলিইউএফপি বিস্কুট বিতরণ,২৪টি স্কুল নতুন ভবন নির্মাণ,প্রতিটি স্কুলে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া উন্নয়নে হারমোনিয়া বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় বিহীন এলাকার স্কুল স্থাপনসহ শিক্ষা খাতে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন করেছে সরকার।

আরও পড়ুন