সংসদে বাসন্তি চাকমার বক্তব্যে উত্তপ্ত হচ্ছে পাহাড় !

NewsDetails_01

সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে রাঙামাটিতে প্রেস ব্রিফিং
জাতীয় সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী, সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে বাসন্তি চাকমার বক্তব্যকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ী তিন জেলা। এ নিয়ে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে প্রেস ব্রিফিং করেছে স্থানীয় বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ। কাল রোববার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে একই ব্যানারে মানববন্ধন করা হবে। বাসন্তি চাকমার বক্তব্য এক্সপাঞ্চ বা জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে মানবন্ধন থেকে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসুচীর ঘোষনাও আসতে পারে।
শনিবার সকালে জেলা শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সচেতন পার্বত্যবাসীর ব্যানারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ জানান, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে খাগড়াছড়ির সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, যা শুধুই ন্যাক্কারজনক নয়, সাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ। তার এই বক্তব্যের পরপরই পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বক্তারা বলেন, পাহাড়ের মানুষ শান্তিপ্রিয় এবং অসাম্প্রায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। পাশাপাশি, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি তিন পার্বত্য জেলার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তারা মনে করেন, মহান সংসদে দাঁড়িয়ে বাসন্তি চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে এবং মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত মাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারা করছেন। তাই বক্তারা পার্বত্য জনগণের ক্ষোভ প্রসমিত করার জন্য অতি দ্রুত জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী হতে বাসন্তি চাকমার বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করার জন্য স্পীকারের প্রতি অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি বাসন্তি চাকমাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
এদিন প্রেস ব্রিফিং এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমধিকার আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। এসময় নাগরিক সমাজের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মুন্না, রুপ কুমার চাকমা, কাজী মোঃ জালোয়া, পল্লব দেওয়ান, মোর্শেদা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, জামাল উদ্দিন, মোঃ হাবিবুর রহমান ও নাজিম আল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের বক্তব্য প্রদানকালে সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা, ১৯৮৬ সালের ০১ মে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ঐ দিন সেনাবাহিনী এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা মিলে “আল্লাহ আকবার” শ্লোগান দিয়ে পানছড়ির দুই তিন গ্রামের পাহাড়িদেরকে জবাই করেছিলো।

আরও পড়ুন