বান্দরবানে ১১টি ক্ষৃদ্র-নৃ-গোষ্ঠি ও বাঙ্গালীসহ ১২টি জাতি গোষ্ঠির বসবাস, জেলার নেতাদের নেতৃত্বের কারনে জেলায় তেমন সংঘাত নেই, ক্ষোধ আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর ও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বিএনপির সাচিং প্রু জেরী একে অপরের প্রতিবেশী হলেও দুই দলের নেতাকর্মীদের মাঝে কোন ধরণের সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। আর এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোধ বান্দরবানবাসী গর্ব করে বলেন, বান্দরবানের দৃষ্টান্ত যদি সব আসনে হতো।
আরো জানা গেছে, রাজনৈতিক সহঅবস্থানের কারনে বান্দরবান শান্তি ও সম্প্রীতির জেলা হিসেবে সারাদেশের কাছে ব্যাপক ভাবে পরিচিত। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিএনপি প্রার্থী দু’জনের বাসভবন মাত্র ৫ গজের ব্যবধানের মধ্যে। প্রতিবারের মতো এইবারও নির্বাচনী সময়ে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত লোকজনের সমবেত হওয়ার জন্য উভয় প্রার্থীর বাড়ি ঘেঁষে তৈরী করা হয় আলাদা আলাদা প্যান্ডেল। প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দিনরাত একেই স্থানে শত শত নেতাকর্মী তাদের বাসায় ভীড় করলেও অপ্রিতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।
বান্দরবান আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম মুন্না জানান, এখানকার মানুষ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপ্রিয়। নেতাদের পক্ষ থেকে কখনো সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না, তাই নির্বাচনের দিনও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিরও আশঙ্কা নেই।
এদিকে দুই প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের মাঝে রাজনৈতিক মতাদর্শের কোন মিল না থাকলে ও নেই কোন রাজনৈতিক বিরোধ। তাদের দুই প্রার্থীর মধ্যে এক বারের জন্যও ঘটেনি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা, মনোনয়ন পাওয়ার পর বীর বাহাদুর বিএনপির প্রার্থী জেরীর পায়ে ধরে সালাম করে নজর কাড়েন। সহঅবস্থান ও সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশে রাজনীতি করছে বড় দলের এই নেতারা। প্রতিবেশী এই দুই প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যক্রমে এমন সম্প্রীতি দেখে স্বস্তিতে এলাকার জনসাধারণও।
বান্দরবান জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক মুজিবুর রশিদ বলেন, দুই প্রার্থীর পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় আমরা নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি কেউ যাতে কারো কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি না করে। আশা করি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে।
প্রচার- প্রচারণা শুরুর পর থেকে দেখা যাচ্ছে, নেতাদের কাছ থেকে নির্দেশনা নিয়ে যার যার দায়িত্ব পালনে বেরিয়ে প্রচার চালান উভয় দলের প্রার্থী। দিন ও রাতের বিভিন্ন সময়ে মিছিল বের হয় দুই বাড়ি থেকে। আবার মিছিল শেষও হয় সেখানে এসে, চলে চা-নাস্তার আয়োজন। অথচ আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি কখনোই।
বান্দরবানের সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বড় দুই দলের এই দুই প্রার্থীর বাড়ি একদম লাগোয়া, পাশাপাশি হওয়ার পরও এখনো তেমন কোন বিশৃংখলা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২টি পৌরসভার,৭টি উপজেলা ও ৩৩ টি ইউনিয়ন নিয়ে ৩০০নং আসন বান্দরবান। আর বান্দরবানের এ আসন থেকে এইবারসহ চার বার সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন্য বিএনপি প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী। এর মধ্যে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি আর অন্যদিকে, আওয়ামীলীগ প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং গত পাঁচ মেয়াদে বান্দরবান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ষষ্ঠবারের মতো নির্বাচন করছেন।