সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী লড়বেন ধানের শীষে

NewsDetails_01

২০০৮ সালে এসএসসি পাশ করেন ডা. সানসিলা। আর এইচএসসি পাশ করেন ২০১০ সালে। এমবিবিএস পাশ করেন ২০১৬ সালে। বর্তমানে তিনি পেশায় ডাক্তার এবং রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রভাষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

শেরপুর-১ (সদর) আসনে বিএনপি থেকে চারজনের মনোনয়নপত্র দাখিল করা হলেও তিনজনেরই বাতিল হয়েছে।

জেলা রিটার্নিং অফিসারের মিডিয়া সেল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি প্রতিবেদনে ঋণখেলাপি এবং অপর দুই প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ফজলুল কাদের দলীয় মনোনয়ন না থাকায় বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না।

NewsDetails_03

অপরদিকে সানসিলার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হেবিওয়েট প্রার্থী টানা চার বারের নির্বাচিত এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ মো. আতিউর রহমান আতিক। এছাড়া জাতীয় পার্টির ইলিয়াস উদ্দিন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জহির রায়হান, ইসলামী আন্দোলনের মতিউর রহমান, কমিউনিস্ট পার্টির আফিল শেখ এ আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।

প্রার্থিতার বিষয়ে ডা. সানসিলা জেবরিন সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ সময় পর এ আসনে বিএনপি থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। এটা অনেক আনন্দের ব্যাপার। এ ছাড়া এ আসনে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। উনি শ্রদ্ধার একজন মানুষ, উনার কাছে শেখার অনেক কিছু আছে। নিজেকে অনেক লাকি মনে করছি, কারণ সর্বকনিষ্ঠ একজন প্রার্থী হিসেবে উনার বিপক্ষে প্রতিযোগিতা করব এবং আমি মনে করি রাজনীতিতে হার-জিত থাকবেই। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তবে ১৪০টি কেন্দ্রেই ধানের শীষের জয় হবেই ইনশাআল্লাহ।

সবশেষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির নজরুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর একই বছর ৭তম সংসদ নির্বাচনে নজরুল ইসলাম পুনরায় প্রার্থী হলেও নির্বাচিত হতে পারেননি। এরপর ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান। তবে তিনি একবারও নির্বাচিত হতে পারেননি। আর ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি।

আরও পড়ুন