সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে : বান্দরবানের জেলা প্রশাসক

NewsDetails_01

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক
রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকারী দালালদের আইনের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
তিনি আরো বলেন, মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আরাকান রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গারা জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে, তারা ওপারেও ফিরে যেতে পারছে না। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গারা। তাদের এভাবে থাকতে দেওয়া হবে না। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি নতুন আরেকটি জায়গায় স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে।
তিনি আরো বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ভূখন্ডে কোন মতেই রোহিঙ্গাদের বসবাস করার সুযোগ দেওয়া হবে না এবং সীমান্তের জিরো লাইনের ৭টি পয়েন্টে অবস্থানকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে উখিয়া উপজেলায় সরিয়ে নেয়া হবে।
জনপ্রতিনিধি, ইমাম, বৌদ্ধ ভিক্ষু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অবনতি যাতে না হয় সে জন্য ঘুমধুমে ইতিমধ্যে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, ৩১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল আজিম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী, বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলম, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ, দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, বৌদ্ধ ভিক্ষু, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

আরও পড়ুন