বান্দরবান সদর হাসপাতালের অফিস সহায়ক তোফাজ্জলকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর অনলাইন পোর্টাল পাহাড়বার্তা ডট কমে ‘‘বান্দরবান সদর হাসপাতালের অফিস সহায়ক যখন ডাক্তার’’ ! শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয় ।
বিষয়টি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নজরে আসে। সংবাদ প্রকাশের ৬ দিন পর ২৬ অক্টোবর বান্দরবান সদর হাসপাতালের অফিস সহায়ক তোফাজ্জল হোসেনকে আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলির আদেশ দেয়া হয়।
এছাড়াও বদলির আদেশে বলা হয়, আগামী ২৬ শে অক্টোবর থেকে তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করলে সরাসরি অব্যাহতি হিসেবে গণ্য হবে।
বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তোফাজ্জলের বদলি আদেশে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
গত ১৯ অক্টোবর বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বান্দরবান সদর হাসপাতালের পরিদর্শনে যান। এ সময় রোগীদের বিভিন্ন অভিযোগ শুনেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেন।
এদিকে ২০ অক্টোবর ‘‘বান্দরবান সদর হাসপাতালের অফিস সহায়ক যখন ডাক্তার’’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তোফাজ্জল হোসেন ওয়ার্ড বয় নয়,একজন অফিস সহায়ক। তবে অনেক রোগী তাকে ডাক্তার, কেউ সার্জারিয়ান, কেউবা ওয়ার্ড বয় হিসেবে চেনেন। এছাড়াও তিনি বান্দরবান সদর হাসপাতালের রোগীকে কমিশনের বিনিময়ে সদরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে পাঠাতেন। এছাড়াও অফিস সহায়ক পদে থেকে তিনি ডেলিভারি অপারেশন করাতেন। চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী পাঠাতো বলেই চিকিৎসকদের কাছে আস্থাভাজন কর্মচারী বলে হাসপাতালের নার্সরা অভিযোগ করেন।
এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী যোগদানের পরেই যান বান্দরবান সদর হাসপাতালে পরিদর্শনে। ওপারেশন থিয়েটারে দেখেন তোফাজ্জলকে ডেলিভারি রোগী সেলাই করতে । তখনই তোফাজ্জল নিজেকে ওয়ার্ড বয় হিসেবে পরিচয় দেন সিভিল সার্জনকে। পরে সিভিল সার্জন দায়িত্বরত চিকিৎসককে এ বিষয়ে জানতে চান। এবং নির্দেশ দেন ওয়ার্ড বয় যেন ডেলিভারি রোগী সেলাই না করেন।
সিভিল সার্জন ডা. নীহার রঞ্জন নন্দী জানান, ওই নিজেকে ওয়ার্ড বয় হিসেবে পরিচয় দিত । তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে বদলি করা হয়েছে।