স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না স্থানীয় এমপিরা

NewsDetails_01

ছবি : সিইসি নুরুল হুদা
কেবল সিটি করপোরেশন নয়, স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালাতে পারবেন সংসদ সদস্যরা (এমপি)। তবে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা এ সুযোগ পাবেন না। এ বিধান সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মে) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ তথ্য জানান।

এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, সব এমপি নির্বাচনি প্রচার চালানোর সুযোগ পাবেন। তবে সোমবার সিইসি জানান, স্থানীয় এমপিদের এলাকায় একটি প্রভাব থাকে। যার কারণে স্থানীয় এমপিদের প্রচারণার বাইরে রাখা হয়েছে। তবে তারা ভোট দিতে পারবেন।

এমপিদের নির্বাচনি প্রচারে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচনের বিধান ছিল না। বর্তমান দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়। এজন্য দলীয় প্রার্থীর পক্ষে দলীয় কর্মীর প্রচারে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাছাড়া সংবিধানের ৩৭ ও ৩৮ ধারায় সবার সভা, সমাবেশ ও চলাফেরার অধিকার রয়েছে। যার কারণে বর্তমান বিধানটি আমাদের কাছে ঠিক মনে না হওয়ায় এ বিধানটি বাদ দিয়ে আমরা এমপিদের প্রচারে চালানোর সুযোগ দিয়েছি।’

NewsDetails_03

এমপিরা প্রচার চালালে নির্বাচন প্রভাবিত হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এমপিরা রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী নন। তারা কোনও সরকারি অফিস ব্যবহার করেন না। এজন্য আমরা মনে করি, এখানে নেতিবাচক কোনও প্রভাব পড়ার সুযোগ নেই।’

স্থানীয় প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না কিন্তু অন্য এমপিরা পারবেন- এক্ষেত্রে যে পারবে না তার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এটি সাংঘর্ষিক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোনও উত্তর দেয়নি কমিশন। তবে এ ব্যাপারে কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় এমপিদের এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ত্রাণ, অনুদান দেওয়ার ক্ষমতা আছে। তারা কিছু প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ কারণে নির্বাচন যেন প্রভাবিত না হয় সেজন্য আমরা তাদের প্রচারণার বাইরে রেখেছি। তবে তারা এলাকায় যেতে পারবেন এবং ভোট দিতে পারবেন। এলাকায় গেলে বা ভোট দিলে প্রভাবিত হওয়ার কোনও সুযোগ নাই।’

এমপিদের নির্বাচনে প্রচারণার সুযোগ দেওয়ার ব্যাপারে একজন কমিশনার নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিইসি বলেন, ‘আমাদের পাঁচজন কমিশনারের মধ্যে চারজন পক্ষে মত দিয়েছেন এবং একজন নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। সেই নোট অব ডিসেন্টটি আমাদের যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। তাই আমরা এই বিধান পাস করেছি।’

প্রসঙ্গত, সিটি করপোরেশন ছাড়া স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ। এগুলোর মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচনটি পরোক্ষ ভোটে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অন্যান্য পরিষদের শীর্ষ পদটি দলীয় মনোনয়নে এবং অন্যান্য পদ নির্দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন