হত্যার পর স্ত্রীর লাশ টুকরো করেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার রাজু

NewsDetails_01

স্ত্রী হত্যার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার জাহিদ হোসেন রাজু
সন্দেহের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার জাহিদ হোসেন রাজু (২৮)। এরপর লাশ গুম করতে শরীর এবং মাথা আলাদা করে বস্তায় ভরে ফেলে দেন। আজ সোমবার রাতে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য পুলিশকে জানান রাজু। জাহিদ হোসেন রাজু খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার হারুনুর রশিদের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ছোটপুল এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
সূত্র জানায়, গত ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকায় একটি নালা থেকে সুমি ইসলামের (২০) মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্য নিয়ে পুলিশ সুমির মাথা এবং জবাইয়ে ব্যবহৃত ছোরাটিও উদ্ধার করে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম বলেন, গ্রেফতারের পর রাজু বলেছেন, তার স্ত্রী বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। এটা নিয়ে কয়েকবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। ২৫ অক্টোবরও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত পৌনে ২টার দিকে সুমিকে প্রথমে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলা হয়। লাশ গুম করতে বস্তায় ঢুকিয়ে হালিশহর থানার ছোটপুল ইসলাম মিয়া ব্রিকফিল্ডের কাছে নালায় ফেলা দেন। আর মাথা ডবলমুরিং থানার বেপারী পাড়ায় পইট্টা দীঘির পশ্চিম পাড় কবরস্থানের দক্ষিণ পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেন রাজু।
হত্যা এবং লাশ গুম করতে রাজুকে সহযোগিতা করেছেন প্রতিবেশী আব্দুল জলিল ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী জিজ্ঞাসাবাদে এমনটিই রাজু জানিয়েছেন বলে জানান আমেনা বেগম। সূত্র-সারাবাংলা

আরও পড়ুন