সাংবাদিক যে হাতে লেখবে সেই হাত ভেঙ্গে দিবা : থানচি যুব উন্নয়ন কর্মচারীর হুঙ্কার

purabi burmese market

সাংবাদিক যে হাতে লিখবে সে হাত ভেঙ্গে দিলনা কেন? ভবিষ্যতে সাংবাদিক বা যে কেউ আমার কাজে তদারকি বা তথ্য জানতে আসলে হাত পা ভেঙ্গে দাও। আমি কে, তারা এখনও চিনেন না, আমার সাথে প্রশাসনের বড় কর্তারা রয়েছে, আমার কথায় প্রশাসন চলে।

কথাটি প্রকাশ্যে বলেছেন, বান্দরবানে থানচি উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি।

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা বান্দরবানের থানচি উপজেলা তথ্য সেবা কেন্দ্রের পার্শ্বে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের আয়বর্ধনের লক্ষ্যে রাজস্ব খাত হতে কয়েকটি দোকান ঘর নির্মান প্রাক্কালে থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমাসহ কয়েকজন সরেজমিনে গিয়ে নির্মান কাজের তথ্য জানতে চান নির্মান কাজের শ্রমিক আবদুল খালেদ এর কাছ থেকে। এরপর ছবি সংগ্রহ করে প্রেসক্লাব সভাপতিসহ সাংবাদিকরা চলে যায়। পরে নির্মান শ্রমিকরা উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজাকে ছবি ধারন করার কথা জানালে এসময় সেলিম রেজা উপরোক্ত কথা বলেন।

শ্রমিকরা জানান, দোকান পাকাঘর নির্মান কাজ বাস্তবায়নের জন্য শ্রমিক নিয়োগ, বেতন ভাতা বাস্তবায়ন কাজের কন্ট্রাকসহ প্রশাসনের সকল কাজের বিষয় যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজা স্যার জানেন, তিনিই কাজটি করছেন।

উল্লেখ্য,২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও উপজেলা পরিষদ এর যৌথ অর্থায়নে থানচি ট্যুরিষ্ট পার্ক ও পর্যটন তথ্য সেবা কেন্দ্র এর শুভ উদ্ভোধনের নাম ফলকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলমের নামের নিচে কাজ বাস্তবায়ন সহযোগীতায় মোঃ সেলিম রেজা নামও যোগ করা হয়। উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার হিসাবে মোঃ সেলিম রেজা এই কাজ বাস্তবায়ন করতে পারেন কিনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।

dhaka tribune ad2

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সহকারী অফিস প্রধান তপন কুমার দাশ বলেন, যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের প্রধান নু প্রু চিং মারমা ও একজন এমএলএসএস রয়েছেন তারা দুইজনের বান্দরবান শহরে থাকেন হঠাৎ উপজেলা মাসিক সভা হলে আসেন এবং বেতন ভাতা নিয়ে যায়, তা ছাড়া আমরা জানিনা।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও উপজেলা পরিষদ এর যৌথ অর্থায়নে থানচি ট্যুরিষ্ট পার্ক ও পর্যটন তথ্য সেবা কেন্দ্র এর শুভ উদ্ভোধনের নাম ফলকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের নামের নিচে কাজ বাস্তবায়নকারী মোঃ সেলিম রেজা’র নাম

আরো জানা যায়, থানচি উপজেলার ট্যুরিষ্ট গাইড, বোট ড্রাইভার, ভারী ও হালকা যানবাহন ড্রাইভার,গন পরিবহন ড্রাইভার, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মেম্বাররা পর্যন্ত উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজাকে “স্যার” না ডাকলে প্রশাসনের সেবাপ্রাপ্তি কঠিন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এই ব্যাপারে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজা আজ সোমবার রাত নয়টা ১০মিনিটে পাহাড়বার্তাকে ফোনে বলেন, আমি সাংবাদিকদের নিয়ে এই ধরণের কোন কথা বলিনি। সাংবাদিকরা ছবি ধারন করেছে, আমাকে শ্রমিকরা জানালে আমি শ্রমিকদের জানিয়েছি ছবি ধারণ করলে সমস্যা কি? এরপর তিনি প্রতিবেদককে থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি থোয়াইহ্লামং মারমা বলেন, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তারা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার মোঃ সেলিম রেজাকে প্রশাসনিক সকল সরকারি কাজে বাস্তবায়নের সুযোগ দিয়ে আসছে, ফলে সে সুযোগে তিনি হয়ে উঠেছে বেপরোয়া।

আরও পড়ুন
1 মন্তব্য
  1. suman বলেছেন

    শুধু সেলিম রেজা নয়। থানচি উপজেলার বেশ কয়জন সরকারী কর্মচারী/কর্মকর্তা সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মূকল কাজ কন্ট্রাক নিয়ে সেখানে শেকড় গেরে বসেছে। তারা বিভিন্ন হোটেল-মোটেল ও ব্যবসায় জড়িত। সরকারের দপ্তরে সময় না দিয়ে এসবা সব ব্যবসায় সময় ব্যয় করছে। বদলীর আদেশ হলেও অলৌকিকভাবে তা বাতিল করে পূনরায় ঐ উপজেলায় বহাল থাকে।
    সাংবাদিক ভাইদের এই সত্য এবং বাস্তব তথ্যটি তুরে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই ধরনের আরও আছে ঐ উপজেলায় তাদের কার্যক্রম ও তুলে ধরার অপেক্সায় রেইলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।