২০১৯ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরছে রাবিপ্রবি : প্রফেসর আবদুল মান্নান

NewsDetails_01

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এর কাছে ভূমিস্বত্ব হস্তান্তর করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজরুল মান্নান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, রাঙামাটিবাসীর জন্য এটি একটি গৌরবের দিন। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে আসা রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ভূমির মালিকানা পাচ্ছে। এটি স্বরণীয় হয়ে থাকবে রাঙামাটিবাসীর জন্য। পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে ২০১৮ সালের জুলাই মাস হতে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের কাজ শুরু হবে। আশা করছি, ২০১৯ সালে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ফিরছে রাবিপ্রবি।
শনিবার জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে ভূমিস্বত্ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যানের হাতে আনুষ্টানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধিগ্রহন করা ভূমিস্বত্ব হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ড. মানিক লাল দেওয়ানসহ বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তিনি এ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ নিয়ে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। আমি সে কমিটির সদস্য ছিলাম। সবকিছু গুছিয়ে নিলেও সরকার বদলের সাথে সাথে তা থেমে যায়। পরবর্তীতে আবার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।
তিনি আরো বলেন, রাঙামাটি এ বিশ্ববিদ্যালয় পুরোদমে চালু হলে লাভবান হবেন এ অঞ্চলের জনগণ। এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে, শিক্ষার প্রসার ঘটবে। জেলার বাইরে গিয়ে দুরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর পড়ালেখা করতে হবে না। ঘরের কাছেই এ সুযোগ পাওয়া যাবে। এখানে গবেষকরা আসবেন। তারা পার্বত্যাঞ্চল নিয়ে গবেষনালব্দ জ্ঞান সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিবেন।
এ বিশ্ববিদ্যালয় সুচনালগ্নে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের ক্রিষ্টোফার কলম্বাস আ্যাখ্যা দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যাদের অবদান রয়েছে তাদের কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের কাজ শুরু করা হবে। ২০১৯ সালের শেষে দিকে গিয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসে কিছু কিছু কার্যক্রম চালু করা হবে। তিনি বলেন, এসময়ের মধ্যে যেকোন দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে পরিদর্শন করে যেতে পারেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় জরিপ চালানোর পর ২০০৮ সালের নভেম্বরে রাঙামাটি সদরের ঝগড়াবিল মৌজায় জায়গা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এরই মধ্যে অধিগ্রহন করা প্রায় ৬৪ একর জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণের নগদ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ মাসেই জমির ডিজিটাল সার্ভে শেষ করা হবে। এরপরই ক্যাম্পাসের নির্মানে কাজ শুরু করা হবে। তিনি জানান, ২০১৫ সাল থেকে শাহ বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাস চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন