বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের ওপারের মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে গোলাগুলির শব্দের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে এপারের সাধারণ মানুষের মাঝে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে নিয়মিত।
আজ শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রাখাইন রাজ্যে গোলাগুলি চলছে বলে জানিয়েছেন সীমান্তের বসবাসরত স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা।
তারা জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহি গোষ্ঠীর আরাকান আর্মি (এএ), আরসা ও আরএসও ত্রিমূখীর গুলাগুলিতে ছোঁড়া গুলি এপারে এসে একটি ঘরের দেয়ালে আঘাত হানে। এসময় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কে ছড়িয়ে পড়লে সে সময় নিরাপত্তার টহল জোরদার করে বিজিবি।

শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আলম জানিয়েছেন, সকালে চাকঢালা সীমান্তের ৪৩ নাম্বার পিলারের ওপারে পুরান মাইজ্জার ক্যাম্প হতে সেই দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী দল আরকান আর্মি বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এতে একটি গুলি সীমান্তের চেরার মাঠ এলাকার ছৈয়দ আলমের বসত ঘরের দেয়ালে এসে পড়ে আঘাত হানে। এসময় ওই এলাকার লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আর এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিন্থ দায়িত্বরতসহ প্রসাশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পুরান মাইজ্জা ক্যাম্পটি সাম্প্রতি সময়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছ থেকে আরাকান আর্মি দখল করে নেয়। সীমান্তের ওপারে বেশ কিছুদিন থেকে আরাকান আর্মি সাথে রোহিঙ্গা বিদ্রোহি দল “আরসা” ও “আরএসও” দলগুলোর মধ্যে ত্রিমূখী আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব জের ধরে সংঘর্ষ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল হতে আরকান আর্মি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন।