সমাবেশে বিএনপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ মারমা ঐক্য পরিষদ ও সমাধিকার আন্দোলনসহ বেশ কিছু আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা, গত ৪ মার্চ রামগড়ের পাতাছড়া এলাকা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি চাথোয়াই মারমাকে অপহরণের ঘটনায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) কে দায়ী করে। অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করে অন্যাথায় কঠোর কর্মসূচির হুশিঁয়ারী দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।
বিএনপির নেতার অপহরণের ঘটনায় নিজস্ব ব্যানারে কর্মসূচি পালন না করে আঞ্চলিক একাধিক সংগঠনের সমন্বয়ে নতুন ব্যানারে মাঠে নামাকে কৌশল হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, সারাদেশে বিএনপি ভেঙ্গে চুরমার, খাগড়াছড়িতে যা কিছু আছে তারা আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করছে। এতোদিন গোপনে ছিল আজ প্রকাশ্যে এসেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন কৌশল নিতে পারে। অপকৌশলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রাখবে।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমএন আবছার বলেন, বিএনপি সবসময় গুম, অপহরণ ও বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি চাথোয়াই মারমার অপহরণের ঘটনায় বিএনপি কর্মসূচি দিবে। কিন্তু তার আগে অন্য একটি সংগঠন কর্মসূচি দেয়ায় বিএনপি অংশগ্রহণ করে সংহতি প্রকাশ করেছে।
বিএনপি নেতা অপহরণের সাথে ইউপিডিএফ’র কোন সম্পৃক্ততা নেই দাবি করে ইউপিডিএফ সংগঠক মাইকেল চাকমা বলেন, ইউপিডিএফ কার্যালয়ে গত ৭ মার্চ হামলার ঘটনাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করতে একটি মহল এমন ষড়যন্ত্র করছে।