আলীকদমে ২ হাজার মানুষ পানি বন্দি, তবুও আশ্রয় কেন্দ্র বিমুখ

NewsDetails_01

ভারী বর্ষণের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের বান্দরবান আলীকদম উপজেলার ৪ ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া পাহাড়ি ঢলে উপজেলার প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে ও আলীকদমের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দপ্তরের সাথে যোগাযোগের সড়ক এরমধ্যেই পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এরমধ্যেই প্লাবিত এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

আলীকদম সদরে খুইল্যা মিয়া পাড়া, বাজার মারমা পাড়া একাংশ, সাবের মিয়া পাড়া, ফয়জুলুম মাদ্রাসাসহ আশেপাশের এলাকা, সদর হিন্দু পাড়া, আলীমুদ্দিন পাড়া, বটতলী, চিউনী পাড়া, আমতলী, মংচিং হেডম্যান পাড়া, ভরিরমুখ, কর্মকার পাড়া, সোনাইছড়ি, ফটেরঝিড়ি, মান্নান মেম্বার ঝিড়ি, কাকড়া ঝিড়ি, নয়াপাড়া স্কুল সংলগ্ন, রোয়াম্ভু,আববাস কার্বারী পাড়া, নামার কলারঝিড়ি, বাবু পাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে হয়েছে।

টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টিতে রবিবার সকাল থেকে উপজেলার নিচু অঞ্চল ও আলীকদম-চকরিয়া সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়, ফলে যোগাযোগ বন্ধ। বিপাকে পড়েছে আআলীকদমে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদেরকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

রোয়াম্ভু বাসিন্দা সাজেদা আক্তার বলেন, সকালে দ্রুত পানি বৃদ্ধি পায় এবং বসত ঘরের এক কোমড় পানি হয়েছে । ঘর থেকে নিজেদের গায়ের কাপড় ও গৃহপালিত পশু ছাড়া কিছু বের করতে পারি নি। নিরুপায় হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে এসেছি।

NewsDetails_03

মোঃরহিম বলেন, ঘরে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে, পরিবারের সবাইকে নিকট আত্মীয়দের বাসায় রাখা হয়েছে। বসত ঘরের সাথে সাথে ফসলী জমিও প্লাবিত হয়েছে। ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, সদর প্রায় ৫-৬ শতাধিক মানুষ পানি বন্দি। নয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.কফিল উদ্দিন বলেন, নয়াপাড়া ইউনিয়নে প্রায় এক হাজার মানুষ পানি বন্দি। সবচেয়ে বেশি পানিবন্দী রোয়াম্ভু এলাকায়।

তিনি আরও বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রে ও আত্মীয়দের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে সবাইকে বিরানি ও শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মোহাম্মদ সোয়াইব বলেন, উপজেলায় ১৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে তারমধ্যে ১৪ টি বিদ্যালয়। আশ্রয় কেন্দ্র অবস্থানরতদের জন্য শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে।

যে কোন দূর্ঘটনা মোকাবিলা করতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল প্রস্তুত। প্লাবিত এলাকা ও আশ্রয় কেন্দ্র গুলো পরিদর্শন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন