পাহাড়ের ১৮ উপজেলায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করবে জুম ফাউন্ডেশন

NewsDetails_01

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিন পার্বত্য জেলায় পুষ্টি নিয়ে কাজ করবে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা জুম ফাউন্ডেশন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অংশ হিসেবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকাগুলোতে। যেখানকার বাসিন্দারা পুষ্টি বিষয়ে সচেতন না, পুষ্টি হীনতায় ভুগেন।
আজ সোমবার সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রকল্পটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। পুষ্টি পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করণ প্রকল্পের অধীনে দুর্গম এলাকায় বসবাতরত মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে কাজ করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকে সহায়ক হিসেবে কাজ করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলার ১৮টি উপজেলার ৭৮টি ইউনিয়ন এ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ২০২৩ সালের আগষ্ট পর্যন্ত এ প্রকল্পে গর্ভবতী নারী ও প্রসব পরবর্তী মা ও শিশুদের পুষ্টি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করা হবে। কাজ করতে গিয়ে কোন সমস্যা চিহ্নিত হলে তা নিরসন করে পুষ্টি প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নিশ্চিত করণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানান প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলেয়ানা পাংখোয়া। জুম ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সুজল কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সান্তনা চাকমা, রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিষদ সদস্য রেমলেয়ানা পাংখোয়া বলেন, ১৯৯৭ সালে চুক্তি অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদে বিভিন্ন সরকারী বিভাগ হস্থান্তর হয়েছে। তার মধ্যে প্রানীসম্পদ, সরকারী হাঁস-মুরগী খামার, মৎস্য বিভাগ’সহ বিভিন্ন দপ্তর রয়েছে। তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করলে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো প্রত্যান্ত এলাকায় বসবাসরত মানুষের পুষ্টি সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক এলাকায় মানুষ এখনো পুষ্টি বিষয়ে সচেতন নয়। তারা প্রতিনিয়ত পুষ্টিহীনতায় ভুগেন। এসডিজি পুরণের জন্য এটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রকল্পের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড পারপোজ এর প্রকল্প পরিচালক সৌভাগ্য মঙ্গঁল চাকমা। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে।

আরও পড়ুন