বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশ রক্ষার কোন বিকল্প নেই : বীর বাহাদুর

NewsDetails_01

আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশ রক্ষা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। পরিবেশ রক্ষা পেলেই আমরা পাব সুন্দর জীবন আর অনাবিল শান্তি। আজ রবিবার (৫ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবানের অরুন সারকী টাউন হলে বন বিভাগের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম জলাশয় সহ-ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে স্টেক হোল্ডারদের এক পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এমন মন্তব্য করেন।

এসময় মন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করতে আমাদের সবাইকে সজাগ হতে হবে, বিশেষ করে বন রক্ষার পাশাপাশি পানির উৎসগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বন আর পানি থাকলে অক্সিজেনের কোন ঘাটতি হবে না, আর আগামী প্রজন্ম সুরক্ষিত থাকবে।

এসময় পার্বত্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা ভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে অক্সিজেনের মুল্য কি, আর এই অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে আমাদের সকলের বাড়ীর আঙ্গিনায় বৃক্ষরোপন করতে হবে আর তার সঠিক পরিচর্যা করতে হবে আর এতে ব্যক্তিগত পর্র্যায়ে ফল ফলাদি উৎপাদনের সাথে সাথে অক্সিজেন বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।

NewsDetails_03

বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (পাল্পউড) মাহমুদুল হাসান এর সভাপতিত্বে এসময় কর্মশালায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

এসময় পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হক মাহাবুব হোসেন, লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজিম উদ্দিন, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মাসুদুর রহমান রুবেল, ইউএনডিপির বান্দরবানের ম্যানেজার খুশি রায় ত্রিপুরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ,ফাতেমা পারুলসহ বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান কারবারী এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (পাল্পউড) মাহমুদুল হাসান সভাপতির বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পার্বত্য জেলা, আর এই পার্বত্য জেলায় যে পরিমান বন রয়েছে সেটি সঠিকভাবে রক্ষা করতে হবেই।

এসময় তিনি আরো বলেন,বন রক্ষা শুধু বন বিভাগের একার দায়িত্ব এমন নয়, দুর্গম এই এলাকাতে বনের বৃক্ষ ও পানির উৎসগুলো ঠিকিয়ে রাখতে স্থানীয় মৌজার হেডম্যান কারবারী ও জনপ্রতিনিধিদের বনবিভাগের সমন্ধয়ে দায়িত্বশীল কর্তব্য পালন করতে হবে।

আরও পড়ুন