লকডাউনে কর্মহীন-হত দরিদ্ররা পাবেন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ : জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা

NewsDetails_01

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জানিয়েছেন, কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনে পাহাড়ের অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কর্মহীন ও হত দরিদ্র পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন ও পৌরসভার কর্মহীন ও হত দ্ররিদ্রদের এ ত্রাণ দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে উপজেলার জামছড়ি ইউনিয়নের হানসামা ফরেস্ট ক্যাম্প প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ত্রাণ তুলে দেয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

সদ্য ঘোষিত জামছড়ি ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মং চিং এর সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ক্যসাপ্রু মারমা, সদস্য লক্ষীপদ দাশ, সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মার্মা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পাইহ্লা অং ।

NewsDetails_03

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে বান্দরবান সদর উপজেলার কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রণে চলমান লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া ২০০ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ হিসেবে দেওয়া হয় ১০ কেজি চাল, ডাল, তেল । ওই ইউনিয়নের ৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডের ৪০ পরিবারসহ মোট ২০০ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ত্রাণ তুলে দেন প্রধান অতিথি।

জেলা পরিষদ কার্যাল সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৩৪ টি ইউনিয়ন আর ২ টি পৌরসভার সাড়ে ১৪ হাজার পরিবারকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে এ ত্রাণ। ত্রাণ হিসেবে প্রতিটি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে, ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল ও ১ লিটার তেল ।

আরো জানা যায়, জেলার দুই পৌরসভার প্রতি পৌরসভার ১ হাজার ৮০ কর্মহীন ও দরিদ্র অসহায় পরিবার পাচ্ছে এ ত্রাণ। এছাড়াও জেলার ৩৪ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নের ৩৬০ কর্মহীন ও দরিদ্র পরিবার পাবে এ ত্রাণ। বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচি এবং আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা কর্মসূচি প্রকল্পের মাধমে এ ত্রাণ দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে টানা দুই মাস লকডাউন চলে। সেই লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়ে পাহাড়ের হাজারো লোকজন । কর্মহীন, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি সংগঠনের পাশাপাশি ত্রাণ নিয়ে সবচেয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ। সেই সময় বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচীর আওতায় জেলার ৫২ হাজার ৩৭১ পরিবারকে দেয়া হয় চাউল। এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা কর্মসূচির আওতায় ৮ হাজার ৮৭৪ পরিবার, ৭২২টি মসজিদ, ৪১৫ টি বৌদ্ধ বিহার, ২ হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য এবং ১৬৬ গণমাধ্যমে কর্মীকে দেয়া হয় সহায়তা।

আরও পড়ুন