থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র স্বাস্থ্য ভালো নেই ! ৪২ পদ শূন্য

NewsDetails_01

গত বছরে স্বাস্থ্য বিভাগের ঘোষনাকৃত বান্দরবানের থানচি উপজেলা ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া জোন মোকাবেলার জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ১৩ জন আবাসিক চিকিৎসকের মধ্যে মাত্র ৫ জন কর্মরত। তৎমধ্যে দুই জন চিকিৎসক বান্দরবানে প্রেষনে রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও প্রধান সহকারী, হিসাব রক্ষক, ক্যাশিয়ার ৩ জনকে ও প্রেষনে রাখা হয়েছে। এরফলে বান্দরবানের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র চিকিৎসা ব্যবস্থা বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে, যা-হযবরল।

৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা উন্নিত অবকাঠামো উদ্ভোধন করা হলেও দীর্ঘ ৪ বছরেরও চালু করা সম্ভব হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ ৪২টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে।

কাল বৈশাখি ঝড়ের সামান্য বৃস্টিতে পাহাড়ে ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ মৌসুমে। আক্রান্তদের চিকিৎসা পেতে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন রোগীরা।

গত মঙ্গলবার ১৪ মে সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে আটজন ও পুরুষ ওয়ার্ডে একজন ভর্তি রোগী দেখভাল করছেন একজন চিকিৎসক।

NewsDetails_03

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে সরকারী ভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ ১৩ চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৫ জন। এর মধ্যে ২ জন সদর হাসপাতালের প্রেষনে। সিনিয়র-জুনিয়র নার্স ১৮ জনের স্থলে আছেন ৪ জন, ১৪ জনের পদ শূন্য। মিডওয়াইপ ৪ জনে স্থলে আছেন ৩ জন, ১ জন শূন্য। স্বাস্থ্য সহকারী ১৩ জন স্থলে আছে ৬ জন, ৭ জন শূন্য।

কমিউনিটি হেল্থ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) ৭ জন স্থলে আছে ৬ জন, ১ জন শূন্য, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১ জন স্থলের কেউ নেই। নাইট গার্ড ২ জন স্থলের আছেন ১ জন, অপরজন বান্দরবানের প্রেষনে রয়েছে। ক্যাশিয়ার ও প্রধান সহকারী ২জনকে বান্দরবানে প্রেষনে রাখা হয়েছে। প্যাথলজি ২ জন রয়েছে। সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪ জনের স্থলে ৩ জন আছেন, ১ জন শূন্য। ল্যাব টেকনিশিয়ান ২ জনের মধ্যে ১ জন, অপরজন শূন্য। ফার্মাসিস্ট ২ জন মধ্যে শূন্য ও মেডিকেল টেকনোলজি রেডিওগ্রাফার ১জন, তাও শূন্য। আয়া, ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার ১৯ জন স্থলের ১৪ জন আছেন ৫ জন শূন্য সব মিলিয়ে ৪২ টি পদে শূন্য রয়েছে।

সাক্ষাতের সময় কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন,’কর্মকর্তাসহ চিকিৎসক চারজনের মধ্যে ২ জনকে প্রেষণে বান্দরবানে আছেন। আমরা দুজন আছি। মাসের ১৫ দিন ভাগ করে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। সরকারি চাকরি, কষ্ট হলেও কিছুই করার নেই আমাদের।’

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, গত মাসে কুকিচিং ন্যাশন্যাল ফ্রন্ট কেএনএফ সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের ভর দুপুরের সন্ত্রাসী কায়দা ডাকাতি পর যৌথ বাহিনীর অভিযানের দুর্গম অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা দিতে কর্মীদের আতংঙ্ক সৃস্টি হওয়াই সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলো শূন্য রয়েছে। বর্তমানের আমাদের উপজেলার ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া জোন হিসেবে পরিচিত অঞ্চল। প্রেষনের থাকা কর্মকর্তাদের ফেরত দেয়ার দাবী জানায়।

চলতি মৌসুমের পাহাড়ে বিভিন্ন রোগ বেশি দেখা দিয়েছে। তাই ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়া, ভাইরাস জ্বর, পেটব্যথা, সর্দি-কাশির সেবা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এ জন্য শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আরও পড়ুন