হামলার শিকার ব্যাক্তিকেই অব্যাহতির সুপারিশ লামার মেয়রের !

জেলা যুবলীগের তদন্ত কমিটি

বান্দরবানের লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মেয়রের সাথে তর্ক করায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পরও মেয়রের ফুফাতো ভাইয়ের হামলা। ফুফাতো ভাই পৌর যুবলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান সাইদ কর্তৃক হামলার জের ধরে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ঝাড়তে হামলার শিকার আলাউদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদকের সাথে তর্কে জড়ানোয় বিষয়ে জেলা যুবলীগের কাছে অব্যাহতির সুপারিশের নির্দেশ দিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র, এমন অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীদের।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় একটি একটি চা চক্রের আয়োজন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল। সভার এক পর্যায় আলাউদ্দিন বিষয়টি উপস্থাপন করেন মেয়র।

আহত আলাউদ্দিন পাহাড়বার্তাকে বলেন, ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা ও মেয়রের আশীর্বাদপুষ্ট হলেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হওয়ায় বিষয়টি তুলে ধরে কথা বলতে বলতে বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। পরে সবার সামনে মেয়রের কাছে ক্ষমা চেয়েছি, উনিও ক্ষমা করেছেন, আমার উপর হামলাও হলো কিন্তু এরপরও কেন বিষয়টি নিয়ে এখনও রেগে আছেন জানি না। আমি তো দলের স্বার্থে কথা বলেছি।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহেদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাশ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজে আলাউদ্দিনকে অব্যাহতির জন্য বলেছেন। আমরা জানিয়েছি আমরা আলাউদ্দিনকে অব্যাহতি দিতে পারি না। অব্যাহতির সুপারিশ করতে পারি, জেলায় কিন্তু সিন্ধান্ত নিবে জেলা যুবলীগ।

NewsDetails_03

ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, মেয়রও ক্ষমা করেন তারপর হামলার শিকার, আবার অব্যাহতি কেন এমন প্রশ্নের উত্তরের জাহেদ উদ্দিন ও প্রদীপ কান্তি দাশ বলেন, ক্ষমা চাওয়া ও ক্ষমা করার পরও কেন অব্যাহতিতে অনড় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বুঝতে পারছি না। উপজেলা আওয়ামী লীগ যে নির্দেশ দিবে আমরা তা পালন করব। মেয়র অব্যাহতির বিষয়ের অনড় থাকায় আমরা অব্যাহতির সুপারিশ পাঠিয়েছি, বাকী সিন্ধান্ত জেলা যুবলীগ নেবে।

এবিষয়ে মুঠোফোনে লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি একটি বিচারের আছেন, পরে কথা বলবেন।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা জামাল বলেন, মিটিংটি মন্ত্রীর অনুষ্ঠান সফলতার সাথে শেষ হওয়ায় নেতাকর্মীদের চায়ের দাওয়াত দিয়েছি। সেখানে আলাউদ্দিনের বিষয়টি উপস্থাপন করেছিল মেয়র। তিনি আরও বলেন, লামা আওয়ামী লীগে একটি শৃঙ্খলা আছে আলাউদ্দিনও অন্যায় করেছে, সাইদ আরও বেশি অন্যায় করেছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাথোয়াইচিং মারমা সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান, ঘরে মেহমান আছে, পরে কথা বলব বলে কল কেটে দেন।

এই ব্যাপারে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কেলু মং পাহাড়বার্তাকে বলেন, আমরা এখনও এই ধরণের কোন পত্র পায়নি,পত্র পেলে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন