চাহিদা শীর্ষে পাহাড়ের ‘রেড চিটাগাং’

NewsDetails_01

সাধ আর সাধ্যের বিস্তর ফারাক থাকা স্বত্তেও জমে উঠেছে পাহাড়ী জেলা রাঙামাটির প্রতিটি কোরবানীর হাট। নানা জাতের পশুর ভীড়ে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পাহাড়ের ‘রেড চিটাগাং’।

নজর কাড়া রঙে এই জাতের গরু দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি চমৎকার দৈহিক গঠনে কোরবানির হাটে সহজেই চোখে পড়ে। রেড চিটাগাং জনপ্রিয় হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হল, এর মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পাহাড়ের নির্মল পরিবেশে সম্পুর্ণ রাসায়নিকমুক্ত ভাবে বেড়ে উঠে। এদের মাংসের মধ্যে চর্বির পরিমাণ কম হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য কম ক্ষতিকর। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামুলক ভাবে ভালো।

NewsDetails_03

জনপ্রিয় এই রেড চিটাগাং গরু ক্রয় করতে শুধু রাঙামাটি নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে স্থানীয় কোরবানীর হাটগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে ক্রেতারা। ফলে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণায় মুখর এখন হাটগুলো। জেলা শহরের পৌরসভার একমাত্র হাটেই পশুর সরবরাহ ভালো। মাঝারী ও ছোট সাইজের গরুর চাহিদা বেশি থাকায় হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার দর কষাকষিতে চলছে কেনাবেচা। গতবারের তুলনায় এবার প্রতি গরুর মুল্য ২০ থেকে ৫০ হাজার বেশি দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতারা বলছেন, গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, গরুর খাবারসহ সব কিছুর মূল্যবৃদ্ধিতে দাম বেড়েছে।
জানা গেছে, হাটে এবার ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৩ লাখ টাকার দাম পর্যন্ত গরু রয়েছে। দাম বেশি হওয়ার কারণে অনেকে শেষদিন পর্যন্ত অপেক্ষা থাকার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে, ভালো বিক্রির আশায় দাম ধরে বসে আছেন বিক্রেতারা।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে এবার সবমিলিয়ে ১৯টি পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি হাটে রেড চিটাগাং, অন্য জাতের গরু, মহিষ, পাহাড়ী গয়াল, ছাগল ও ভেড়া বেচাকেনা হচ্ছে। এতে করে এবার লেনদেন দুইশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত জানান, আসন্ন কোরবানিতে পশুর চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৪০টি। এর বিপরীতে বিভিন্ন খামারে ও ব্যক্তি উদ্যোগে কোররানির পশু প্রস্তুত আছে ৩৯ হাজার ২৯৮টি। এসব পশুর মধ্যে রেড চিটাগাং এর চাহিদা সবার ওপরে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন