দীঘিনালায় অজ্ঞাত কারনে মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ

NewsDetails_01

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরুর তিন দিনের মাথায় অজ্ঞাত কারণে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

জানা যায়, চলতি অর্থবছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদের নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দেয় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। পরে নির্মাণকাজ শুরুর তিন দিনের মাথায় কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রব বাবু জানায়, মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার তিন দিনের মাথায় স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাজ বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মুসল্লী জানান, এলাকার একটি কুচক্রী মহল স্থানীয়দের ক্ষেপিয়ে তুলে মানববন্ধন করে মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা।

NewsDetails_03

অনুসন্ধানে জানা যায়, মধ্য বেতছড়ি এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। এরমধ্যে মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদ ও মধ্য বেতছড়ি গোরস্থান পাড়া জামে মসজিদ দুটি উল্লেখযোগ্য। এ দুই মসজিদের পরিচালনা কমিটির লোকজন পৃথকভাবে মসজিদ নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ বরাবর আবেদন করে। জেলা পরিষদ মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়। এতে মধ্য বেতছড়ি গোরস্থান পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় কিছু মুসল্লী মসজিদ নির্মাণ কাজ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করে। সেসময় কর্তৃপক্ষ নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে মধ্য বেতছড়ি জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় শতাধিক মুসল্লী মসজিদ নির্মাণ কাজ বহাল রাখতে মানববন্ধন করে৷ এ নিয়ে এলাকাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শাহেদ চৌধুরী জানায়, কর্তৃপক্ষ কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বলেছে। কি কারণে বন্ধ রাখতে বলেছে তা আমার জানা নেই। সেসময়ে আমি দেশের বাইরে ছিলাম। বর্তমানে পিতা অসুস্থ হওয়ায় ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

মসজিদ নির্মাণকাজ বন্ধের বিষয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি নতুন যোগদান করেছেন বলে সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হাওলাদারকে ধরিয়ে দেন৷ তিনি জানান, একই এলাকায় একই নামে দু’টি মসজিদ থাকায় নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর গোরস্থান পাড়া সংলগ্ন মসজিদের মুসল্লিগণ নির্মাণকাজে আপত্তি জানিয়ে মানববন্ধন করলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ সময় তিনি আরও জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাইলে পুনরায় মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন