দীঘিনালায় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

NewsDetails_01

একজন হিল আনসার সদস্যকে ছুটি দেখিয়ে চেকের অগ্রিম স্বাক্ষর রেখে সে বেতন ভাতা ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মোফাচ্ছেল হকের বিরুদ্ধে। গত ৩১ অক্টোবর (সোমবার) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক বরাবর এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেন, উপজেলা আনসার কোম্পানি কমান্ডার এম. এ সোবহান। ঘটনাটি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায়।

এম.এ সোবহান অভিযোগ করেন, দীঘিনালার রশিক নগর মসজিদ টিলা হিল আনসার ক্যাম্পের সদস্য (নায়েক) আলী হোসেনকে অফিসের রানার হিসেবে ১২ মাস ছুটি দেখিয়ে তার চেকের অগ্রিম স্বাক্ষর রেখে সে টাকা ভোগ করে আসছেন উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মোফাচ্ছেল হক। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ করা হয় এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

জানা যায়, হিল আনসার সদস্য (নায়েক) আলী হোসেনের বাড়ি মাটিরাঙ্গার গুমতি ইউনিয়নে। তার পিতার নাম হারুন মিয়া। তিনি মাটিরাঙ্গার এক প্রতিষ্ঠিত গাছ ব্যবসায়ী৷

NewsDetails_03

জানতে চাইলে দীঘিনালা উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের আরেক হিল আনসার সদস্য মোঃ গাজী বলেন, “আমি ও মিজান এ অফিসে রানার হিসেবে কাজ করছি।” পরে আলী হোসেন’র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন “আমরা তিনজন এ অফিসে আছি৷ আলী হোসেন মাঝেমধ্যে অফিসে আসে আবার ক্যাম্পে চলে যায়।”

রশিক নগর মসজিদ টিলা হিল আনসার ক্যাম্পের কমান্ডার মোঃ আকতার হোসেন বলেন, “আলী হোসেন আমার ক্যাম্পে ছিল। কয়েকমাস আগে তাকে রানার হিসেবে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি এখন আমাদের ক্যাম্পে নেই।”

এ বিষয়ে হিল আনসার সদস্য (নায়েক) আলী হোসেন’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কাঠ ব্যাবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, “আমি এক পার্টনারের সাথে গাছ ব্যবসা করলেও কিছুদিন যাবৎ ব্যবসা বন্ধ রেখেছি। তাছাড়া আমি উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডিউটি করি। প্রতিদিন উপস্থিত হয়ে হাজিরা দেই। পরে স্যার (আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা) আমাকে বিভিন্ন জায়গায় অফিশিয়াল কাজে পাঠান৷”

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে দীঘিনালা উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শাহ মোফাচ্ছেল হক বলেন, “নিজের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে কেউ একজন হয়তো এমন মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। আমার অফিসের রানার হিসেবে দুইজন হিল আনসার ও ভিডিপি সদস্য কাজ করে। একজন মোঃ গাজী ও অপরজন মিজানুর রহমান মিজান ৷ তবে আলী হোসেনের অফিসে নিয়মিত ডিউটি করতে হয়না। এটা বাহিনীর বিষয়। আমি তাকে সোর্স হিসেবে বিভিন্ন কাজের দ্বায়িত্ব দিয়েছি।

আরও পড়ুন