বান্দরবানের ৪ উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষেধাজ্ঞা ৪ নভেম্বর পর্যন্ত

NewsDetails_01

বান্দরবান পার্বত্য জেলার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে গত ১৭ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি এবং ২৩ অক্টোবর থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটক যাতায়তে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী স্বাক্ষরিত এক স্বারক মূলে জানা যায়, জেলায় দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনা নিবাসের ৩০ অক্টোবর এক পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরত জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি,থানচি ও আলীকদম উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আগামী ৪ নভেম্বর বর্ধিত করা হয়।

NewsDetails_03

আরো জানা গেছে, এক পত্রে গত ১৭ অক্টোবর থেকে রুমা ও রোয়াংছড়ি এবং গত ১৭ অক্টোবর রাতে মো: লৎফুর রহমান (উপ সচিব), জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (রুটিন দায়িত্ব) স্বাক্ষরিত অপর পত্রে বলা হয়, থানচি ও আলীকদমে শসস্ত্র বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের উপস্থিতির বিষয়ে সু -নির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহের জন্য বান্দরবান সেনা রিজিয়নের এক পত্রের আলোকে বান্দরবান রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তার মূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে আলীকদম ও থানচি উপজেলার স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়। আর তা ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

গত ২০ অক্টোবর জেলার রোয়াংছড়ি ও রাঙামাটি বিলাইছড়ির সাইজামপাড়ার দূর্গম এলাকায় যৌথ বাহিনীর ১০ দিনের অভিযানে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ৭জন ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর ৩জনসহ মোট ১০ সদস্য কে বিপুল পরিমান অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরাঞ্জামসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব, এসময় তাদের ১টি আস্তানা ধ্বংস করা হয়। আর এঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে জেলার ৪টি উপজেলায় পর্যটক যাতায়ত নিষিদ্ধ করা ও যৌথ বাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারসহ শসস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের কারনে জেলা জুঁড়ে আতংক বিরাজ করছে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে জেলায় হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটলেও এবার নিষেধাজ্ঞা জারি থাকায় পর্যটক না আসার কারনে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও বিনোদনস্পটগুলো এখন পর্যটক শূন্য, ফলে আর্থিক ভাবে লোকসান গুনছে পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন