বান্দরবানে জালিয়াতি মামলায় ভূমি অফিসের কর্মচারী সন্তোষসহ ৩ জন কারাগারে

NewsDetails_01

বান্দরবান শহরে ভূমির দলিল জালিয়াতি করে অবৈধ ভাবে জমি জবর দখলের মামলায় সন্তোষ দাশ নামে সদর ভূমি অফিসের কর্মচারীসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। জহিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে সন্তোষ দাশসহ অপর ৭ জনের বিরুদ্ধে এমামলা দায়ের করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের ভেনাস রির্সোটের সামনে সৈয়দ মোজাফ্ফর আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তির জমি ভুয়া দলিল সৃজন করে মামলার আসামীরা জবর দখল করে রাখে দীর্ঘ দিন ধরে। এঘটনায় গত ৪ মে জমির মালিক সৈয়দ মোজাফ্ফরের জামাতা মো: জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনের নামে বান্দরবান সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, বান্দরবান সদর ভূমি অফিসের জারি কারক সন্তোষ দাশ, মোস্তফা মিনহাজ, ভূমি কথিত কেয়ারটেকার মান্নান, দলিল লেখক গোপাল দাশ, দলিলের স্বাক্ষী মো: আলী হোসেন, জিন্নাত আরা ও রমিজ আহাম্মেদ।

এমামলায় বুধবার (১০ মে) আসামী সন্তোষ দাশ, মান্নান ও গোপাল দাস দাস আত্মসমার্পন পূর্বক
আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দা সুরাইয়া আক্তারের আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেয়।

NewsDetails_03

এই ব্যাপারে মামলার বাদী মো: জহিরুল ইসলাম পাহাড়বার্তা’কে জানান, এই আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে তাহার শ্বশুরের স্থলে অন্য ব্যক্তিকে জমির মালিক সাজিয়ে জাল দলিল তৈরী করে তাদের নামে নামজারী করে নেয়।

তিনি আরো জানান, ১নং আসামী সন্তোষ দাশ বান্দরবান সদর ভূমি অফিসের জারীকারক পদে কর্মরত। তার পিতা সুনিল দাশ (সোনা রাম) একজন জাল দলিল চক্রের মূল হোতা। সেই সুবাদে পিতা পুত্র মিলে সদর ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে জাল দলিল সৃজন করে তার শ্বশুরের ৫০ শতক জমি জবর দখল করেন।

আরো জানা গেছে, ১৯৮১ সালে ৩ ডি সেট মৌজা মূলে জেলা সদরের ৩১৩ নং মৌজায় সরকারী কর্মচারী সৈয়দ মোজাফরকে ৫০ শতক জায়গা বন্দোবস্তি প্রদান করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। ১৬৯ হোল্ডিং এর বন্দোবস্তি প্রাপ্ত সেই জায়গার মালিক মোজাফর। আর অন্যজনকে মোজাফর সাজিয়ে ভূমিটির মালিক বানিয়ে এই ভূমির ৪০ শতক জায়গা মোস্তফা মিনহাজ ও ১০ শতক নিজ পুত্র সন্তোষ দাশকে বিক্রি করেন সন্তোষ দাশ এর পিতা সুনিল দাশ ওরফে সোনারাম। এরপর মোস্তফা মিনহাজ তার ৪০ শতক ভূমি থেকে লেস কামাল ও মো: জসিম উদ্দিনকে ২০ শতক বিক্রি করে দেন।

আরো জানা গেছে, উক্ত ভূমিতে থাকা ভূমির কেয়ারটেকার মান্নান হঠাৎ ভূমিটি নিজের দাবি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছে এবং তার ছেলে রবিউল ইসলাম, ড্রাইভার মো: সেলিম, মো: সোলাইমান, মামুনুল ইসলাম ভূমিটি দখল করে সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাদকব্যবসা ও অসামাজিক কর্মকান্ড সংগঠিত করে আসছিল বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর বর্তমানে জায়গাটি সরকারি খাস জমি দাবী করে সদর ভূমি অফিস সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন