বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক’কে গু-ন্ডা ডাকলেন আবুল কালাম !

NewsDetails_01

এবার বান্দরবান জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজাকে গু-ন্ডা বলে অবহিত করলেন বান্দরবানের বহুল আলোচিত মিয়ানমার থেকে অবৈধ গরু চোরাচালনকারী বলে অভিযুক্ত আলীকদম উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবুল কালাম। তার একটি নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য রাখতে বেঁফাস বিভিন্ন কথা বলে তিনি এখন বিএনপির রাজনীতিতে আলোচনার তুঙ্গে।

গত ৫ মে (রবিবার) রাতে আলীকদমের পান বাজারের একটি পথসভায় এই কথাগুলো বলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বক্তব্যে গু-ন্ডা ডাকার জেরে আলীকদমের সাধারণ জনগণ ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া সেই বক্তব্যে আবুল কালামকে বলতে দেখা যায়, আমাদের একটা বিএনপি নেতা আছে বান্দরবান জেলার সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, আমার ছোট ভাই। তার বড় ভাইয়ের বড় ভাই আমার সাথে রাজনীতি করেছে, আমি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হয়েছি, সেইবার কমিশনার হয়েছে সেলিম ভাই। আমার অনেক ছোট, হয়তো আমার বড় মেয়ের যে বয়স তার চেয়ে ৫ বছরে বড় হবে। আমার রাজার ছেলে সার্চিং প্রু জেরি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট খোঁজে, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট খোঁজে তাকে আমরা মেয়র (বান্দরবান পৌরসভার) বানিয়েছি। মেয়র বানিয়ে সে আওয়ামী লীগের সাথে চেইন করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে।

আবুল কালাম আরো বলেন, একবার আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিলো, আমি পৌরসভা তে উঠেছি। দেখলাম একটা ছোট ছয় মাসের জুনিয়র ছেলে আচমকা আমার সামনে চেয়ারটাকে ঘুরালো। আমি বললাম কালাম চেয়ারম্যান, কুদ্দুস চেয়ারম্যান, সদরের চেয়ারম্যান সাচিং প্রু জেরি মোটা মানুষ তার বউ রাজপুত্রবধু প্রত্যেক ঘরে ঘরে গিয়ে সেই ছয় মাস একটা জুনিয়র ছেলেকে পৌরসভার মেয়র বানিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান বানিয়েছি, আমাদের সামনে পায়ের উপর পা তুলে চেয়ার নিয়ে এই যে সিনেমার গু-ন্ডার মত ঘুরলো। দেখে আমি খুব মাইন্ড করেছি, সে বলছে চা খেতে বলেছে, আমি বলেছি ধন্যবাদ।

NewsDetails_03

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে অনেক বিএনপির নেতা কর্মীর সাথে শেয়ার করেছি। আমার বাবা আলীকদমের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির সভাপতি, এই এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ছিল, আমি চেয়ারম্যানের ছেলে। আমার বাবা সভাপতি, আমি চার বার বিএনপির সভাপতি, আমি ১৭ বছর যুবদলের দায়িত্ব পালন করেছি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলাম। আমি সিনিয়র মানুষ, আমার সামনে চেয়ার ঘোরাচ্ছে। তোমাকে বলি (জাবেদ রেজাকে উদ্দেশ্যে করে) তোমার কি আসলে বিবেক নাই? তোমার কি বুদ্ধি নাই? আমি মানুষদের হাতে ধরে বুঝিয়েছি, তোমাকে পৌরসভার মেয়র বানিয়েছি, তুমি তাদের সাথে (আওয়ামী লীগ) হাত করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছ। পক্ষান্তরে আমি দূরে যাব না, আমি জুতার মালা গলায় নিবো, যেটা বলছি সেটা যদি সত্যি না হয়।

কালম বলেন, এই যে দানু সদ্দার পাড়ার ভেতর দিয়ে রাস্তা হয়েছে, এখানে তিন কোটি টাকার বাজেট অর্থাৎ আমাদের এমপি সাহেব (বীর বাহাদুর) প্রতিবছর তাকে দিয়ে থাকে। কোন কোন বছর ৪ কোটি টাকা দেয়। অর্থাৎ সে নামকাওয়াস্তে বিএনপি, কিন্তু আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

গত কয়েকদিন আগে মিটিং করেছে এখানে বিএনপির সমর্থিত মানুষদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছে। গত পরশুদিন একইভাবে সাংবাদিক হাসানকে কল দিয়েও কিছু নেতাকে কল দিয়ে তাদেরকে বলেছে তাদেরকে মানা করেছে অর্থাৎ যারা বিএনপি নেতা আমাকে সাপোর্ট করে তাদেরকে কেন্দ্র বিমুখী করে তাদেরকে (আওয়ামী লীগ) তাদের ভোটে নির্বাচিত করতে।

এই বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা পাহাড়বার্তা’কে বলেন, আলীকদমের আবুল কালাম চেয়ারম্যান আমার অফিসে কখনও আসেনি, এমপি সাহেব আমাকে কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছে সব মিথ্যা। একজন অবৈধ গরু চোরাচালানকারী (আবুল কালাম) ভোটারদের সাহানুভূতি আদায় করতে এসব মিথ্যা বলছে।

আরও পড়ুন