রাঙ্গামাটির সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ

NewsDetails_01

রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন করেছেন আদালত। পাশাপাশি ধ্বংসপ্রাপ্ত পাহাড় পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল ও জাহিদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।

NewsDetails_03

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল আইন মান্য না করে পাহাড় কেটে প্রকৃতি ধ্বংস করছে।

এ কারণে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট দায়ের করে। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি এক অন্তবর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটতে না পারে।

এর আগে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড়ের মাটি কাটা নিয়ে গত ২৯ মার্চ গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে গতকাল (১ এপ্রিল) হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও রিপন বাড়ৈ।

রিটে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।

আরও পড়ুন