শিক্ষক সংকট মেটাতে বিনা বেতনে নিয়োগ !

আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

NewsDetails_01

বান্দরবানের আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনে আন্দোলনের মুখে খন্ডকালিন ৩ শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হলেও সেই শিক্ষকরা গত ৮ মাস ধরে বেতন না পেয়ে চাকরী ছেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ সালে আলীকদম জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও সরকারি করন হয় ১৯৮৯ সালে। বর্তমানে ৫শ জন ছাত্রছাত্রী অধ্যায়ন করছে। বছরের পর বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য, তাছাড়া সহকারী শিক্ষকের ১০টি পদ থাকলে শূন্য আছে ৪টি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবীতে গত বছরের ২৮ মার্চ ছাত্র ছাত্রী ও অবিভাবকদের মানবন্ধনসহ আন্দোলনের মুখে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে রকিবুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম নয়ন ও সিরিন সুলতানা নামে তিন শিক্ষককে একই বছরের ২৯ মার্চ মাত্র ৫হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। যোগদানের পর গত ৮ মাস বেতন মেলেনি তাদের। বিভিন্ন দপ্তর ও স্থানীয় জন প্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বেতন না পেয়ে হতাশায় চাকরি ছেড়েছেন তারা।

আরো জানা গেছে, একদিকে শিক্ষক সংকট অন্যদিকে এরি মধ্যে খন্ডকালিন তিন শিক্ষক চাকরী ছাড়ার কারনে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘœ ঘটছে, ফলে আশানুরুপ ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

NewsDetails_03

ভুক্তভোগী খন্ডকালিন শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম নয়ন বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের স্যার আমাকে সিভি নিয়ে স্কুলে আসতে বলেন। সিভি জমা নিয়ে ক্লাস করানোর জন্য পাঠানো হয়, যোগদানের শুরু থেকে ৮ মাস সম্মানি ভাতা দেওয়া হয়নি।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলার চেয়ারম্যান এর কাছে গেলেও কোনো সমাধান পায়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমাকে তহবিল খালি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঘুরাচ্ছেন।
এই বিষয়ে আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ফরিদ বলেন, ২০২২ সালে শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করার ফলে তিনজন শিক্ষককে নিয়োগ করা হয় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী শামীমের মৌখিক নির্দেশনায় কিন্তু স্কুলের ফান্ডে অর্থ না থাকায় তাদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না।

অপর ভুক্তভোগী খন্ডকালিন শিক্ষক শিরিন সুলতানা জানান, বেতন ঠিক মতো না পাওয়ার কারনে আমি চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।

এই বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মোঃ শোয়াইব বলেন, নিয়োগ যেহেতু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়েছেন, উনি বেতন দিবেন। সরকারি চাকরিতে কোনো মৌখিক নির্দেশনা গ্রহন করা হয় না।

আরও পড়ুন