খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিজিবি গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮ টায় মাটিরাঙ্গা থানার ওসি সামসুদ্দিন ভূইয়া স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
পরে সকাল সাড়ে ১১ টায় মাটিরাঙ্গার আলুটিলা বটতলী মাঠে নিহত শাহাব মিয়া, মফিজ মিয়া, আলী আকবর ও আহমদ আলীর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে বটতলী কবর স্থানে মফিজ মিয়া এবং ইসলামপুর কবর স্থানে পিতাসহ দুই পুত্রের দাফন করা হয়।
এরআগে, মঙ্গলবার রাতে পলাশপুর বিজিবি জোনে নিহত বিজিবি সদস্য মো. শাওনের জানাজে শেষে মরদেহ বরগুনার বেতাগী থানায় স্বজনদের কাছে মরদেহ পাঠানো হয়।
গাছ কাটার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর ওপর বিজিবির এমন গুলি বর্ষণের ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
এদিকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার রেজাউল করিমকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কমিটি গঠনের তিন কার্যদিবসের মাঝে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি সামসুদ্দিন ভূইয়া জানান, এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা ২ যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে মাটিরাঙ্গার গাজী নগর এলাকায় গাছ কেটে কাঠ নিয়ে যাওয়ার পথে বিজিবির সাথে কাটাকাটির একপর্যায়ে বিজিবি এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ করে স্থানীয়রা। এতে বিজিবি সদস্যসহ ৫ জন নিহত হয়। তবে বিজিবি সদস্যের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নেয়ায় অনিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি গুলি ছুঁড়ে বলে দাবি করে বিজিবি।