পাহাড়ে চুক্তি করা হয়েছিল শান্তির জন্য কিন্তু একের পর এক হত্যাকান্ডে অশান্ত হয়ে উঠছে পাহাড়। অস্ত্রধারীদের কারণে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ভীত-স্বন্ত্রস্ত। সন্তু লারমা শান্তি চুক্তি করে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জাতীয় বেঈমানের খাতায় নাম লিখিয়েছে। তাই পাহাড়ের আনাচে-কানাচে অবৈধ অস্ত্রধারীদের ধরুন, নইলে হরতাল-অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দেয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) সকালে তিনি রাঙ্গামাটিতে বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে হত্যার প্রতিবাদ ও বাঘাইছড়িতে সাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবীতে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই ঘোষনা দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সাবেক মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু, আওয়ালীগের সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, আওয়ামীলীগ নেতা অংশু ছাইন চৌধুরী, অংশুপ্রু চৌধুরী, রাঙ্গামাটি মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসীন রোমান, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ জাহান, রূপ কুমার চাকমাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
নেতৃবৃন্দরা বলেন, অবিলম্বে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করতে হবে। এটা এখন সকলের দাবি। অবৈধ অস্ত্রধারীরা রক্তের খেলায় মেতে উঠেছে। পাখির মত গুলি করে মানুষ হত্যা করছে। সাধারণ জনগণ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগন পর্যন্ত বাদ পড়ছে না। এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। তাই এ অঞ্চলের সকল হত্যাকান্ডের দায় ইউপিডিএফ ও জেএসএসকে নিতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দরা বলেন, এরপর আর প্রতিবাদ করবো না, প্রতিরোধ গড়ে তুলে প্রতিশোধ নিব। হয় এখানে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল থাকবে, নয়তো সাধারণ জনগণ থাকবে। নেতৃবৃন্দ পাহাড়ের যেসব সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল, সেসব সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপনের দাবি জানান।
এর আগে রাঙ্গামাটি পৌর চত্বর থেকে হাজার-হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল রাঙ্গামাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।